শেষ আপডেট: 13th December 2023 20:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: কয়েক মাস আগে পড়ে গিয়ে মাথায় লেগেছিল। ভিতরে তৈরি হয়েছে গভীর ক্ষত। মাথার ভিতর একপাশে রক্ত জমাট বেঁধেছে। ঠিকমতো চিকিৎসা না হলে মৃত্যু অবধি ঘটতে পারে। এমনই অবস্থা কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর। এই অবস্থাতেই চিকিৎসার জন্য স্টুডেন্ট হেলথ হোমে পাঠিয়েছিলেন স্কুলের দিদিমণি। কিন্তু চিকিৎসার ব্যবস্থা না করেই ছাত্রীকে ফিরিয়ে দিল কাটোয়ার স্টুডেন্ট হেলথ হোম।
স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের একাধিক জায়গায় তৈরি হয়েছিল স্টুডেন্ট হেলথ হোম। কো-অপারেটিভের মাধ্যমে চলে এগুলি। রাজ্যের বহু সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ এই কো-অপারেটিভের আওতায় রয়েছে। প্রতিবছর টাকা জমা দিয়ে এই স্টুডেন্ট হেলথ হোমের কার্ড নবীকরণ করতে হয় স্কুল কলেজগুলিকে।
কাটোয়ার কাছারি রোডে রয়েছে স্টুডেন্ট হেলথ হোম। কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয়ের সদস্যপদও রয়েছে। এই স্কুলেরই দশম শ্রেণির এক ছাত্রী কয়েক মাস আগে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পায়। মাথার ভিতর রক্ত জমাট বেঁধে যায়। তাই স্কুলের শিক্ষিকা তাকে স্টুডেন্ট হেলথ হোমে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ, ছাত্রীকে এখানে নিয়ে এলে তাকে চিকিৎসা না করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, স্কুল টাকা জমা দেয়নি। কার্ডও নবীকরণ করা হয়নি। তাই তার চিকিৎসায় কোনও সাহায্য করতে পারবে না হোম।
এই ঘটনা সামনে আসার পরেই নিন্দার ঝড় উঠছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন কার্ডের মেয়াদ যে শেষ হয়ে গেছে, সেবিষয়ে তাদের কোনও নোটিস পাঠায়নি হোম। বিষয়টি নিয়ে মহকুমা শাসককে তাঁরা নালিশ জানিয়েছেন। ছাত্রীর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছেন তাঁরা।
প্রধান শিক্ষিকা মাধুরী দাস বলেন, '' স্টুডেন্ট হেলথ হোম আমাদের স্কুল থেকে নানান কর্মসূচিতে টাকা নেয়। অনেক সময় ছাত্রীদেরও নিয়ে যায়। অথচ সদস্যপদ রিনিউ করা নেই এ কথা কোনদিন জানায়নি।''
স্টুডেন্ট হেলথ হোমের সম্পাদক প্রভাত ভড় অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ''নিয়ম অনুযায়ী সদস্যপদ রিনিউ না থাকলে চিকিৎসা পায় না। তবে এ ঘটনায় কোথাও একটা ভুল হয়েছে। আমরা স্কুলকে চিঠি দিয়ে জানাচ্ছি।''
অভিযুক্ত কর্তা অসিত দত্ত বলেন, ''আমাদের তরফে ভুল হয়েছে। স্কুল থেকে টাকা নিয়েছি অন্য কর্মসূচির জন্য। তবে রিনিউয়ালের জন্য স্কুলকে জানানো হয়েছিল।''
কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাধুরী দাস বলেন, ''আমরা স্টুডেন্ট হেলথ হোমের এই ব্যবহারে আহত। নামেই স্টুডেন্ট হেলথ হোম, আদপে সংগঠনের নামের সঙ্গে কাজের কোনও মিল নেই। পড়ুয়াদের পাশেই তো থাকল না।''