শেষ আপডেট: 14th June 2024 15:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজে গিয়ে গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। হামলায় মাথা ফেটেছিল তিন ইডি আধিকারিকের।
ঘটনার তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছিলেন, জমি-ভেড়ি লুঠ-সহ হাজারও বেআইনি কারবারের হোতা শাহজাহান কালো টাকার একাংশ এলাকার গরিব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিলেন। একদিকে চলত বেয়াড়াদের ওপর অত্যাচার অন্যদিকে অনুগতদের যৎকিঞ্চিৎ সাহায্য করা।
ইডি সূত্রের দাবি, শুধু এলাকার গরিব মানুষকে অল্প সল্প দান ধ্যান করা নয়, দলের প্রভাবশালী মন্ত্রী বিধায়ক নেতাদেরও দামি উপহার পৌঁছে দিতেন শাহজাহান। সেই সূত্রেই সকলকে হাতে রেখে ক্রমেই ফুলে ফেঁপে উঠেছিল শাহজাহানের বেআইনি কারবার।
সূত্রের খবর, চার্জশিটেও এই বিষয়টির উল্লেখ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। নির্দিষ্ট করে একজন বিধায়কের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
ইডির দাবি, বিধায়ককে উপহার দেওয়া ওই টাকা অবশ্য শাহজাহান দেননি। সেটি আদায় করা হয়েছিল এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। আদালতে তদন্তকারী সংস্থার দাবি, জোর করে জমি-ভেরি দখলের বিপুল কালো টাকা মাছ ও ইটভাটা ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করতেন শাহজাহান।
তবে ইডির ওপর হামলার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন সন্দেশখালির শাহেনশা। দীর্ঘ টালবাহানার পর ৫৬ দিনের মাথায় রাজ্য পুলিশ মিনাখাঁর গোপন ডেরা থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৬১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। শাহজাহানের তিনটি বিলাসবহুল গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, শাহজাহানের এই বিশাল সাম্রাজ্যের পরিমাণ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, প্রভাবশালীদের দামি উপহার দেওয়ার মাধ্যমে ক্রমেই সন্দেশখালিতে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন শাহজাহান। কারা কারা ছিলেন শাহজাহানের এই উপহারের তালিকায়, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।