শেষ আপডেট: 20th February 2024 15:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সন্দেশখালি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ এখনও পলাতক। তার নাগাল পায়নি পুলিশ। এ ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মঙ্গলবার সরাসরি প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক অভিযানে যান। তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যেতে দেয় প্রশাসন। এই প্রসঙ্গেই এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ওই ব্যক্তির (পড়ুন শাহজাহান শেখ) বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। ইডির অফিসারদের উপর হামলার অভিযোগও রয়েছে। অথচ রাজ্য পুলিশ এখনও তাকে আটক করতে পারেনি। এটা আশ্চর্যের বিষয়, যে ব্যক্তি গোটা ঘটনার মূলে সে এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে”। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা জানি না তাকে আড়াল করে রাখা হয়েছে কিনা, কিন্তু এটা দেখতে পারছি পুলিশ তাকে এখনও ধরতে পারেনি।”
সন্দেশখালি মামলায় এর আগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই মামলা পরে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদিন মামলার শু্নানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ওখানে যে অভাব অভিযোগের কথা উঠছে তা আমরা শুনেছি। স্থানীয় মহিলারা কিছু অভিযোগ তুলেছেন। ওই লোকটি (শাহজাহান শেখ) এভাবে পালিয়ে থাকতে পারে না। আমরা তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলছি।”
এখানেই না থেমে প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি একজনের জন্য এত মানুষের সমস্যা হয়, তা হলে রাজ্যের উচিত হবে না তাকে আড়াল করা। ওই ব্যক্তি একজন জনপ্রতিনিধি। জনতার ভালর জন্যই তাকে কাজ করতে হবে। প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ দেখে ধারণা হচ্ছে, যে ওই ব্যক্তি সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেছে।
হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পর রাজ্য পুলিশের উপর চাপ বাড়ল বলে অনেকে মনে করছেন। ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই পলাতক শাহজাহান শেখ। তাঁর ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, এক মাস আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেছিলেন, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ঘটনা হল, এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার বা আটক করা যায়নি শাহজাহানকে।
বস্তুত হাইকোর্টের এদিনের পর্যবেক্ষণের আগে রাজ্যে বিরোধী দলগুলি সরাসরিই অভিযোগ করেছে যে শাহজাহান শেখ রাজ্য পুলিশেরই আশ্রয়ে রয়েছে। নইলে শাহজাহান এত বড় কেউ নয় যে পালিয়ে থাকতে পারে। এখন দেখার আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণের পর রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে ধরার ব্যাপারে আরও সক্রিয় হয় কিনা!