শেষ আপডেট: 17th June 2024 16:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: রানিগঞ্জ সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় মূলচক্রী সোনুর ছেলেবেলার বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শশীকান্ত মালি নামে ওই যুবকের সঙ্গে বসে ডাকাতির ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছিল সোনু। শনিবার রাতে অন্ডালের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেই শশীকান্তকে জেরা করে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আরও এক অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম নগেন্দ্র যাদব। সে বিহারের সারান জেলার মোবারকপুরের বাসিন্দা। রবিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আসানসোল পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ জুন রানিগঞ্জের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় দুষ্কৃতীদলের সদস্য ছিল নগেন্দ্র। সোনুর দলে সে শার্প শ্যুটার হিসাবে কাজ করত। ঘটনার দিন দোকানের ভিতরে যখন লুঠপাঠ চলছিল, তখন নগেন্দ্র পিস্তল হাতে বাইরে ঘোরাফেরা করছিল। কাকতালীয়ভাবে ওই সোনার দোকানের কাছেই ছিলেন আইসি মেঘনাদ মণ্ডল। ডাকাতি হচ্ছে টের পেয়ে নগেন্দ্রর সঙ্গেই প্রথমে গুলির লড়াই শুরু হয় তাঁর।
মেঘনাদের গুলিতে সোনু আহত হয়। এরপরেই নগেন্দ্র বাকি সদস্যদের পালাতে সাহায্য করে। আহত সোনুকে নিয়ে আসানসোলের দিকে যায় নগেন্দ্র ও আরও দুই সদস্য। রাস্তায় তারা এক বেসরকারি ব্যাঙ্ককর্মীর গাড়ি ছিনতাই করে। সেই সময়ে তাদের বাধা দিলে নগেন্দ্র ওই ব্যাঙ্ককর্মী ও এক স্থানীয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গাড়ি নিয়ে পালানোর সময় মাঝরাস্তায় গাড়ির তেল ফুরিয়ে এলে নগেন্দ্রই পেট্রলপাম্পে নেমে তেল ভরায়।
আপাতত রানিগঞ্জে সেনকো গোল্ডে ডাকাতির ঘটনায় মোট চারজন ধরা পড়ল। ঘটনার পরেই গিরিডি থেকে সুরজ কুমার সিং নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ছিনতাই করা গাড়ি ও লুঠ করা সোনার গয়না পাওয়া যায়। এরপরেই ধানবাদ থেকে আহত অবস্থায় সোনু সিং ওরফে বিশ্বজিৎ কুমার শাহও ধরা পড়ে। তাকে জেরা করার পরেই সোনুর ছেলেবেলার বন্ধু শশীকান্ত মালির কথা জানতে পারে পুলিশ। অন্ডালে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, শশীকান্ত ডাকাতির দিনে ঘটনাস্থলে ছিল না। সে সোনুর সঙ্গে বসে ডাকাতির ছক কষে ছিল। লুঠের টাকার বখরা নিয়ে সোনুর সঙ্গে কথাবার্তাও হয়েছিল তার।