শেষ আপডেট: 19th July 2024 12:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: সন্তানহারা এক দম্পতিকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বাকরুদ্ধ রাজ্যের মানুষ।
সল্টলেক সিএস স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে ফেরার পথে বাস থেকে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর পুলিশ তাঁকে এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ, তার পরিবারকে কোনও খবর দেওয়া হয়নি।
ওই ছাত্রের বাবা মায়ের দাবি, তাঁরা অন্য সূত্রে খবর পেয়ে ছুটতে ছুটতে ওই বেসরকারি হাসপাতালে যান। কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের জানানো হয় তাঁদের ছেলেকে পুলিশ নিয়ে চলে গেছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর তাঁরা বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। গিয়ে জানতে পারেন তাঁদের ছেলে মারা গেছে। এরপর ঠিক কী হয়েছিল ছেলের, জানতে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কাছে যান। সেখানে কোনও সদুত্তর পাননি। জানানো হয় তাঁদের ছেলের দেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
মৃত ছাত্রের মা বলেন, "আমি জানতেই পারলাম না কী করে আমার ছেলেটা চলে গেল! আদৌ তার কোনও চিকিৎসা হয়েছিল কিনা! এই প্রশ্ন তোলায় আমাকে আর আমার স্বামীকে পুলিশ টানতে টানতে বের করে আনে। মারধর করা হয় আমাদের।" সদ্য সন্তানহারা এক দম্পতির সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের এমন অমানবিক আচরণ প্রকাশ্য়ে আসতেই স্তম্ভিত হয়ে পড়েন হাসপাতালে আসা অন্য রোগীর আত্মীয়রা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, ওই দম্পতি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকদের কাজে বাধা দিচ্ছিলেন। তাই তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের মারধর করা হয়নি। কোনও অমানবিক আচরণও করা হয়নি।