শেষ আপডেট: 24th July 2024 00:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার ইনডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে প্রাক-পুজো বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মমতা বলেন, সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজোর জন্য এয়ারপোর্টের রাস্তা পুরো জ্যাম হয়ে যায়। শুধু তাই নয় উত্তর কলকাতার কিছু বিশেষ পুজোর ক্ষেত্রেও এমনটা হয়ে থাকে। এরকম সমস্যা এবারেও তৈরি হলে, সংশ্লিষ্ট পুজোগুলিকে 'ব্ল্যাকলিস্টেড' করে দেওয়া হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই হুঁশিয়ারির আগেই অবশ্য কলকাতার অন্যতম বড় পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটিকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটি মুচি পাড়া থানা এলাকার অন্তর্গত। থানার তরফে পাঠানো ১৮ জুলাইয়ের নির্দেশিকায় পুজো উদ্যোক্তাদের একাধিক বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এও বলা হয়েছে, নিয়ম না মানা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কী বলা হয়েছে পুলিশের তরফে? জানা যাচ্ছে, চিঠিতে মুচিপাড়া থানার পর্যবেক্ষণ, ২০২২ সালে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো দেখাকে কেন্দ্র করে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পুজো মণ্ডপে প্রবেশ ও বাহিরের পথ চওড়া করার কথা বলা হয়েছে। এবং মন্ডপের ভেতরেও পুলিশের নজরদারির জন্য নির্দিষ্ট জায়গা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মণ্ডপের ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে। কারণ, তা না হলে ভিড়ের মধ্যে সবচেয়ে অসুবিধের মধ্যে পড়ে শিশু ও বয়স্করা।
নির্দেশিকায় পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে লেজার সাউন্ড লাইট শোয়ের জেরে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই ধরনের কোনও লেজার/লাইট/সাউন্ড শো করা যাবে না। এমনকী প্যান্ডেলের অভ্যন্তরে আলোকসজ্জা কখনও বন্ধ করা যাবে না। মূলত দর্শকদের আকর্ষণের জন্য অনেক সময় প্যান্ডেলের ভেতরের আলোয় নানারকম কারুকাজ করে থাকেন উদ্যোক্তারা। এর ফলে ভেতরে পর্যাপ্ত আলো না থাকার ফলেও ভিড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, প্যান্ডেলের ভেতরে দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
মন্ডপে প্রবেশ ও বাহিরের পথে কোথাও যেন কোনও স্টল না রাখা হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে উদ্যোক্তাদের। প্যান্ডেলের ভিতরে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য পর্যাপ্ত সাইনবোর্ড রাখতে হবে। গত বছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় ১৪টি সিসিটিভি বসানো হয়েছিল। এবারে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৬টি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভিড় সামলাতে পিক আওয়ারে কমপক্ষে ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং কম সময়ে ১০০ জন স্বেচ্ছা্সেবক রাখার কথা বলাহয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে আগে থেকে পুজোর থিমও থানাকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এও বলা হয়েছে, পুলিশ তা গোপন রাখবে।