শেষ আপডেট: 25th August 2019 07:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো, আলিপুরদুয়ার: বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে গিয়ে সীমান্তে পাক সেনার গুলিতে শহিদ হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের কালচিনির বাসিন্দা রাজীব থাপা। রবিবার সকালে তাঁর কফিনবন্দি দেহ পৌঁছল বাড়িতে। সেখানেই গান স্যালুটের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানালেন সেন জওয়ানরা। সেই সঙ্গে বীর ভূমিপুত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন কালচিনির বাসিন্দারাও। রবিবার সকালে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা হয় রাজীবের কফিনবন্দি দেহ। সেনা জওয়ানরাই তা কাঁধে করে নিয়ে যান রাজীবের বাড়িতে। সবুজ গালিচার মতো চা-বাগানে ঘেরা মেচপাড়াতে তখন শুধুই শোক। সবার চোখে জল। গান স্যালুট দেওয়ার পর জয়ধ্বনি ওঠে রাজীবের নামে। শুক্রবার কাকভোরে জম্মুর রাজৌরি জেলায় নৌশারা সেক্টরে লাইন অফ কন্ট্রোল পেরিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাক সেনা। সেই সময় রুখে দাঁড়ান ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টের জওয়ানরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজীব থাপাও। দু'পক্ষের মধ্যে অনেকক্ষণ ধরে গুলি বিনিময় হয়। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন রাজীব থাপা ( ৩৮ )। শুক্রবারই আলিপুরদুয়ারের কালচিনির মেচপাড়া চা বাগানের বাড়িতে রাজীবের খবর এসে পৌঁছয়। সেই থেকে শোকের আবহ এলাকায়। রাজীবের বাড়িতে রয়েছেন বাবা কুমার থাপা, শয্যাশায়ী মা রীণা থাপা, স্ত্রী খুশবু মঙ্গর ও আট মাসের মেয়ে কাব্য থাপা। ছেলের খবর শুনে শোকে পাথর বাবা-মা। খবর পাওয়ার পর থেকে বাড়িতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের ভিড়। তাঁরাই সামলাচ্ছেন সবকিছু। মাত্র দেড় মাস আগেই ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরেছিওলেন রাজীব। তারপর যে তাঁর কফিনবন্দি দেহ ফিরবে, তা ভাবতে পারছেন না কেউ। এ দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শহিদ জওয়ানের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি জানান, রাজীবের পরিবারের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা রাজ্য সরকার দেখবে।