আজ কি ফের ঝড় তুলবেন হেড-অভিষেক জুটি?
শেষ আপডেট: 16th May 2024 14:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্লে-অফের লড়াই তো পুরো জমে ক্ষীর! কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে শেষ চারে। কিন্তু বাকি দুই জায়গার জন্য রীতিমত যুযুধান লড়াইতে নেমেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস! অঙ্কের বিচারে এই দৌড়ে খানিক এগিয়ে আছে হায়দরাবাদ। এক তো তাদের হাতে এখনও দুই ম্যাচ আছে। তার ওপর তাদের দুই ম্যাচই ঘরের মাঠে। তাও আবার আগের ম্যাচে লখনউকে কার্যত দুরমুশ করে পিটেছে হায়দরাবাদ। ৮ মে সেই ম্যাচের পর আবার প্রায় সাত দিন জিরোনোর সময় পেয়েছে তারা। তার ওপর আজ তাদের প্রতিপক্ষ গুজরাত টাইটান্স, যারা ইতিমধ্যেই ছিটকে গিয়েছে।
আইপিএলের মত টানা টুর্নামেন্টে হপ্তাখানেকের বিরতি পাওয়া কি চাট্টিখানি কথা? মানতে চাইলেন না সানরাইজার্সের সহকারী কোচ সাইমন হেলমট। 'পাঁচদিনের বিরতি তো আমরা আগেও পেয়েছি। এ' আর নতুন কী?' তাও প্রশ্নটা থাকছেই। বিশ্রাম পেয়ে চনমনে হয়ে থাকা হায়দরাবাদ কি রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে লখনউ ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তি ঘটাবে? আবারও কি বিকেল থেকে মেঘ ঘনাতে শুরু করবে? তারপর সাড়ে সাতটা থেকে আছড়ে পড়বে 'ট্র্যাভিষেক' সাইক্লোন?
আইপিএলের ব্যাকরণ বইটাকেই নতুন করে লিখে দিয়েছেন সানরাইজার্সের দুই বিধ্বংসী ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। যেদিন তাঁরা 'আজ কুছ তুফানি করতে হ্যায়' মুডে থাকেন, সেদিন মোটামুটি গ্যালারিতে লোকজনের হেলমেট পরে-টরে বসার মত অবস্থা হয়! লখনউ ম্যাচের হ্যাংওভার এখনও অনেকেরই কাটেনি। আজ উল্টোদিকে গুজরাত টাইটান্স। যাদের বোলিং নিয়ে সমাজমাধ্যমে মিম-টিম ঘুরছে। মোহিত শর্মা সবচেয়ে বেশি রান খাওয়ার রেকর্ড করে ফেলেছেন। হেড-অভিষেক দাঁড়িয়ে গেলে কী দশা হবে তাঁর, ভেবে অনেকেই বাজি ধরা শুরু করে দিয়েছেন। আজ কি তাহলে শেষ অবধি তিনশো পার হয়েই যাবে?
অবশ্য এত সোজা নয়। আইপিএলের মত টুর্নামেন্টে কোনও কিছুরই নিশ্চয়তা নেই! গুজরাত টাইটান্স যেমন। ইতিমধ্যেই ছিটকে গিয়েছে প্লে-অফ থেকে। এদিকে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে সাই সুদর্শন ও অধিনায়ক শুভমন গিল, গুজরাতের দুই ওপেনার জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গেলেন। হায়দরাবাদের চিন্তার জায়গাও আছে। হেড-অভিষেক যদি না টিকতে পারেন, তাহলেই মিডল অর্ডার আর থিতু হচ্ছে না। তিন নম্বরের জন্য কোনও স্থায়ী ব্যাটার নেই। আজ মায়াঙ্ক আগরওয়াল নামতে পারেন, বা নয়ত নীতিশ রেড্ডি বা আব্দুল সামাদ। ওদিকে কিপার ব্যাটসম্যান হাইনরিখ ক্লাসেন আছেন। মার্করামের জায়গায় সম্ভবত মার্কো জ্যানসেন নামবেন। তবে শেষ অবধি গুজরাতের মিডল অর্ডারে ডেভিড মিলার, বিজয় শঙ্কররা দাঁড়িয়ে গেলে কিন্তু বাড়তি পরীক্ষার মুখে পড়বেন হায়দরাবাদের টি নটরাজন, ভুবনেশ্বর কুমার এবং অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। সমর্থকরা অবশ্য এসব ভাবছেন না। সবার একটাই লক্ষ্য! 'ট্র্যাভিষেক' যেন আবার একটা সুপারহিট শো উপহার দেন!