আরজিকর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়।
শেষ আপডেট: 11th August 2024 18:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় কতটা বেপরোয়া ইতিমধ্যে তার টের পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতারের পরও সঞ্জয় নির্লিপ্তভাবে তদন্তকারীদের বলেছিল, "ফাঁসি দিয়ে দিন!"
তদন্তে নেমে সিটের কর্তারা জানতে পারছেন, সামান্য সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও পুলিশের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব ছিল সঞ্জয়ের। কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার অ্যসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত ছিল অভিযুক্ত। জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশের কোনও কর্মী হাসপাতালে ভর্তি হলে, তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব থাকত সঞ্জয়ের ওপরে!
শুধু তাই নয়, সঞ্জয়কে দেখা যেত 'কলকাতা পুলিশ' লেখা মোটর বাইক নিয়ে ঘুরতে। জিজ্ঞেস করলে বলতো, 'এটা আমার অফিসের।'
সামান্য সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও পুলিশের অভ্যন্তরে সঞ্জয়ের এত প্রভাব কীভাবে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিট সূত্রের খবর। মনে করা হচ্ছে, পুলিশের অভ্যন্তরের ওই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে আরজিকরেও দাপট চলতো সঞ্জয়ের। তা না হলে মাঝরাতে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার আরজি করের চারতলার সেমিনার হলে যেতে পারতেন না বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুন নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "আমি মামলাটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। যদিও আমি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নই, তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়া হবে। তাদের কঠোরতম শাস্তি পাওয়া উচিত।"
ধৃত স়্জয়ের দিদিও রবিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আরজিকরে ও(সঞ্জয়) যে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে ওর কঠোরতম শাাস্তি হওয়া উচিত। তবে সকলের কাছে একটাই অনুরোধ, আপনারা ওকে নিয়ে যা খুশি করুন, দয়া করে ওর দেহ আমাদের দেবেন না। আমরা নেব না। কারণ, এমন মানুষের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা যায় না।"
স্বভাবতই, প্রশ্ন উঠছে কার বদান্যতায় সঞ্জয়ের এত প্রভাব গড়ে উঠেছিল? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।