শেষ আপডেট: 11th August 2024 18:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নারকীয় হত্যাকাণ্ড! আরজিকরের তদন্তে নেমে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত ছাত্রীর দেহে একাধিক আঘাতের উল্লেখও করা হয়েছে। রিপোর্টে ধর্ষণের ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। তবে ধর্ষণের পর খুন নাকি খুনের পর ধর্ষণ, এবিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের তিন চিকিৎসকের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠকে বসবেন সিটের তদন্তকারীরা। পুলিশের এক কর্তা বলেন, পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্টও মিলিয়ে দেখা হবে। দুটো থেকে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে ময়নাতদন্তের চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকের আগে সোমবার সকালে আরজিকর হাসপাতালে যাবেন ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত থাকা তিন জন চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আরজিকরের সেমিনার হলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে। সোমবার ওই অকুস্থল পরিদর্শন করার পরই সিটের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিন চিকিৎসক।
আরজিকর কাণ্ডে ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, এই জঘন্য ঘটনা কি সে একাই ঘটিয়েছে, না তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল? কারণ, তরুণীর ওপর যে অত্যাচার হয়েছে তা একা কারও পক্ষে আদৌ করা সম্ভব কিনা, সে নিয়েও ধন্দ রয়েছে।
পুলিশি তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, মৃতার শরীরের অন্তত ১১ জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুক, পেট, পা থেকে শুরু করে ঘাড়, গলা এমনকী যৌনাঙ্গে আঘাত রয়েছে। হাড় ভেঙেছে একাধিক। অপরাধের ধরন দেখে অনেকেই মনে করছেন যে, অভিযুক্ত একা সেখানে ছিলেন না, তার সঙ্গে অন্য কেউ বা একাধিকজনও থাকতে পারে।
এবিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ পদস্থ আধিকারিকরা। তাঁরা পুনরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন।