শেষ আপডেট: 11th August 2024 18:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকরের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সরোজমিন তদন্তে ফের হাসপাতালে এল কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে চারতলার সেমিনারের হলের ঘটনাস্থল ফের পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা।নেতৃত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
জানা যাচ্ছে, বিনীতের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে আরজিকরের মধ্যে বৈঠকে বসেছেন পুলিশ কমিশনার। সূত্রের খবর, ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে আরজিকরের চারতলার সেমিনার হলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় মেডিক্যালের ছাত্রীকে। পুলিশ সূত্রের খবর,, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুন ও ধর্ষণের নমুনা মিলেছে। তবে ধর্ষণের পর খুন নাকি খুনের পর ধর্ষণ? এবিষয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।
সূত্রের খবর, এবিষয়ে নিশ্চিত হতে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিলিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, এ ব্যাপারে আগামীকাল সোমবার ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন সিটের সদস্যরা। একইসঙ্গে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখতে এদিন ফের ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন তদন্তকারীরা।
একই সঙ্গে সেই রাতে যাঁরা ডিউটিতে ছিল আলাদা করে তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশের অনুমান, রাত ৩ টে থেকে ভোর ৬টার মধ্যে খুনের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ছাত্রীর কলার বোন ভাঙা রয়েছে। এছাড়াও দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যা থেকে পুলিশের একাংশের অনুমান, হতে পারে গলা টিপে মারা হয়েছে জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে। গলা এত জোরে টেপা হয়েছে যে কলার বোন ভেঙেছে। মৃত্যু আরও সুনিশ্চিত করার জন্য এরপর শ্বাসরোধ করে ওই জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে বলেও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
প্রসঙ্গত, ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশও দাবি করেছেন, হাসপাতালের ভিতরেই ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে।
যে সেমিনার হল থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকলেও সংশ্লিষ্ট হলের আশেপাশে অনেকগুলি সিসিটিভি রয়েছে। ইতিমধ্যে সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছেন অফিসাররা।