শেষ আপডেট: 4th August 2024 14:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঝাড়খণ্ড থেকে জল ছাড়ায় ক্রমশ জটিল হচ্ছে বাংলার পরিস্থিতি। রাজ্যে বন্যার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বাংলায় বন্যার পরিস্থিতি রুখতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার দুপুরে এক্স হ্যান্ডেলে মমতা জানিয়েছেন যে তিনি ঝাড়খণ্ডের জল ছাড়ার বিষয়ে হেমন্ত সোরেনকে নজর রাখতে অনুরোধ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, "ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট জলাধার থেকে লাগাতার জল ছাড়ার ফলে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে । এই নিয়ে আমি হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে আলোচনা করেছি।" মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "ঝাড়খণ্ডের জল বাংলাকে প্লাবিত করছে। যা 'ম্যানমেড'! তাই আমি ওঁকে (হেমন্ত সোরেন) বিষয়টি নজর রাখতে অনুরোধ করেছি।"
Just now, I spoke to the Chief Minister of Jharkhand, Hemant Soren ji, and discussed with him the evolving flood situation.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 4, 2024
I discussed with him the case of sudden and huge release of water from Tenughat, which has already started flooding Bengal.
I told him that Jharkhand…
একইসঙ্গে মমতা জানিয়েছেন, বন্যার পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সব রকম প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সকল জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। মমতা বলেন, "আমি ডিএমদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলেছি এবং আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে বিপর্যয় পরিস্থিতির যথাযথ নজর নিতে বলেছি। কোথাও যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছি।"
বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজ্য়ের বিভিন্ন এলাকা। এরই মধ্যে জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি। যার জেরে বাংলায় বন্যার আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ায় ক্ষুব্ধ নবান্ন। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ডিভিসি জল ছাড়ছে বলে শনিবার নবান্ন থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৭০ কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। নবান্নের তীব্র আপত্তি প্রকাশের পর ২৪ ঘণ্টার পেরোতে না পেরোতেই নতুন করে আরও ১.২০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার কাজ শুরু করেছে ডিভিসি। রবিবার সকাল থেকে দফায় দফায় জল ছাড়াও হচ্ছে।
ডিভিসি সূত্রের খবর, রবিবার সকালে মাইথন জলাধার থেকে ছ’হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে পাঞ্চেত জলাধার থেকে এদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত নতুন করে ১ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দুটি জলাধারের জল জমা হয় দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারাজে। জলের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকেও জল ছাড়া শুরু হয়েছে।
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল, বর্ধমান এই চার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আলিপুরদুয়ারে জারি লাল সতর্কতা। এই নিয়ে শনিবার নবান্নের তরফে জেলার প্রশাসনকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়। সেই সঙ্গে ডিভিসিকেও কড়া বার্তা দেয় নবান্ন।