শেষ আপডেট: 7th August 2024 15:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতের প্রথমসারির দলগুলির আওয়ামী লিগ ও হাসিনা সম্পর্কে অবস্থান ছিল অভিন্ন। মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠকেও ভিন্ন সুর শোনা যায়নি। তবে বৈঠক শেষে তাল কেটে গিয়েছে সিপিএমের প্রতিক্রিয়ায়। তারা হাসিনার পরিণতিতে দুর্নীতিগ্রস্থ, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন বলে অভিহিত করেছে।
মঙ্গলবার সিপিএমের পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেছে, গণঅভ্যুত্থান ঠেকাতে হাসিনা সরকারের দমনমূলক পদক্ষেপের বলি হয়েছেন প্রায় তিনশো মানুষ। সিপিএম পলিটব্যুরো বলেছে, এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
দেশটিতে দ্রুত গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডল ফিরে আসবে এবং ধর্মনিরপেক্ষতার জয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ভারতের এক নম্বর কমিউনিস্ট পার্টি। প্রসঙ্গত, সিপিএম বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি ও ওয়ার্কাস পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলে। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি বিগত বহু বছর ধরেই হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। নির্বাচনী কারচুপির প্রতিবাদে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনও তারা বয়কট করে।
সিপিএম পলিটব্যুরোর হাসিনার বিষয়ে এমন অবস্থান খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এখনও ভারতের কোনও প্রথমসারির দল এই ধরনের বিবৃতি দেয়নি। বিজেপি এবং ভারত সরকার বাংলাদেশের গোটা ঘটনার পিছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রকে ইঙ্গিত করছে। যদিও হাসিনার বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভ নিয়ে ভারত আগেও কোনও মন্তব্য করেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রক প্রথম থেকেই বলেছে, বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
অন্যদিকে, কংগ্রেসও হাসিনার পাশে থাকারই বার্তা দিয়েছে। বস্তুত কংগ্রেসের সঙ্গে হাসিনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর ইন্দিরা গান্ধীই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জার্মানিতে থাকা হাসিনা ও তাঁর পরিবারকে দিল্লিতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। প্রায় সাত বছর ভারতে কাটিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তিনি।
প্রথমসারির দলগুলির মধ্যে সিপিএম উল্টো সুরে হাসিনার সমালোচনা করে বিবৃতি দেওয়ায় এর রাজনৈতির তাৎপর্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সিপিএমের একাংশ বলছে, বাংলায় তৃণমূল সরকারের একই পরিণতি হবে বলে আগামী দিনে প্রচার করবে সিপিএম। তাই হাসিনা সরকার সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে রাখল। তাছাড়া, হাসিনার পতনে ছাত্র-জনতার সক্রিয় অংশগ্রহণকেও বিবেচনায় রেখেছে সিপিএম।