শেষ আপডেট: 20th October 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কম জনকে টিকার ডোজ দিয়ে সুরক্ষা যাচাই করতে বলেছে দেশের ড্রাগ কন্ট্রোল। এই মর্মে দেশের প্রথম সারির ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ডক্টর রেড্ডি'স ল্যাবরেটরিকে গাইডলাইনও পাঠানো হয়েছে। কম জনের শরীরে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি টিকার ডোজের প্রভাব ইতিবাচক হলে তবেই বৃহত্তর ট্রায়ালের পথে হাঁটবে ভারত। রাশিয়ার টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হবে আর কিছুদিনের মধ্যেই। রাশিয়ার ডাইরেক্ট ইনভেস্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) জানিয়েছে, দুই পর্বে টিকার ট্রায়ালের জন্য অনুমতি দিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ভি জি সোমানি। প্রাথমিক আলোচনায় স্থির হয়েছে দ্বিতীয় পর্বে ১০০ জনকে টিকা দেবে ডক্টর রেড্ডি 'স। এই পর্বে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সেফটি ডেটা জমা করা হবে দেশের ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটিকে। টিকার ডোজের প্রভাব খতিয়ে দেখবেন কমিটির বিশেষজ্ঞরা। তারপরেই তৃতীয় পর্বের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। তৃতীয় পর্বেই বৃহত্তর ট্রায়াল হবে দেশে। সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী মাসে রুশ টিকার বৃহত্তর ট্রায়ালের পথে হাঁটতে পারে ভারত। রাশিয়ার তৈরি করোনার টিকা ভারতেও উৎপাদন ও বিতরণ করা হবে, এমন কথাবার্তা চলছিলই। গতমাসে হায়দরাবাদের ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবকে টিকার ডোজ বিক্রি করেছে রাশিয়ার ভ্যাকসিন বিতরণের দায়িত্বে থাকা ডাইরেক্ট ইনভেস্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) । রুশ টিকার ট্রায়াল ও বিতরণের জন্য রেড্ডিসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে রাশিয়ার ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের। প্রাথমিকভাবে যা কথা হয়েছে তাতে ১০ কোটি টিকার ডোজের জন্য রেড্ডি’স-এর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে গ্যামেলিয়ার। রাশিয়াতে এখন স্পুটনিক ভি টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ৪০ হাজার জনের উপরে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করছে গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ডক্টর রেড্ডি’স ল্যাবের কো-চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জি ভি প্রসাদ বলেছেন, “ড্রাগ কন্ট্রোলের নির্দেশিকা মেনেই টিকার ট্রায়াল হবে। স্পুটনিক ভি টিকা প্রয়োগের আগে সুরক্ষা যাচাই করে নেওয়া হবে। প্রতি পর্বে টিকার সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা করা হবে।” বিশ্বে প্রথম টিকা নিয়ে আসার দাবি করেছে রাশিয়া। এই টিকা বানিয়েছে মস্কোর গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি। রুশ টিকার নাম তাদের প্রথম মহাকাশযানের নামে স্পুটনিক ভি। গ্যামেলিয়ার ভাইরোলজিস্টরা বলেছেন, প্রথম দুই পর্বে মাত্র ৭৬ জনকে ইঞ্জেকশন দিয়ে টিকা নিয়ে আসার জন্য অনেক কথা হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। কিন্তু মোদ্দা কথা হল, কম জনকে টিকা দিলেও তার ফল একই হয়েছে। অর্থাৎ ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই টিকা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। পাশাপাশি, করোনাকে ঘায়েল করার মতো ঘাতক টি-কোষও সক্রিয় হয়েছে। এই টিকার কোনও খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।