শেষ আপডেট: 7th October 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুরক্ষা সবচেয়ে আগে। তার সঙ্গে কোনও আপোস চলে না। সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। রাশিয়ার স্পুটনিক ভি টিকার বৃহত্তর ট্রায়াল করার অনুমতি এখনই দেওয়া হবে না দেশের প্রথম সারির ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবকে। বরং কমজনকে টিকা দিয়ে নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাই করতে বলল ড্রাগ কন্ট্রোল। টিকা সুরক্ষিত প্রমাণ হলে তবে বহুজনের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা যাবে। তার আগে নয়। রাশিয়ার তৈরি করোনার টিকা ভারতেও উৎপাদন ও বিতরণ করা হবে, এমন কথাবার্তা চলছিলই। গতমাসে হায়দরাবাদের ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবকে টিকার ডোজ বিক্রি করেছে রাশিয়ার ভ্যাকসিন বিতরণের দায়িত্বে থাকা ডাইরেক্ট ইনভেস্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) । রুশ টিকার ট্রায়াল ও বিতরণের জন্য রেড্ডিসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে রাশিয়ার ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের। প্রাথমিকভাবে যা কথা হয়েছে তাতে ১০ কোটি টিকার ডোজের জন্য রেড্ডি’স-এর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে গ্যামেলিয়ার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবকে এখনই টিকার বৃহত্তর ট্রায়ালের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। অল্পসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকের উপরে টিকার ডোজের প্রভাব লক্ষ্য করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। টিকা কার্যকরী এবং ভারতীয়দের শরীরে রোগ প্রতিরোধ তৈরি করছে প্রমাণিত হলে তবেই টিকার উৎপাদন শুরু হবে। বিশ্বে প্রথম টিকা নিয়ে আসার দাবি করেছে রাশিয়া। এই টিকা বানিয়েছে মস্কোর গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি। রুশ টিকার নাম তাদের প্রথম মহাকাশযানের নামে স্পুটনিক ভি। গ্যামেলিয়ার ভাইরোলজিস্টরা বলেছেন, প্রথম দুই পর্বে মাত্র ৭৬ জনকে ইঞ্জেকশন দিয়ে টিকা নিয়ে আসার জন্য অনেক কথা হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। কিন্তু মোদ্দা কথা হল, কম জনকে টিকা দিলেও তার ফল একই হয়েছে। অর্থাৎ ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই টিকা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। পাশাপাশি, করোনাকে ঘায়েল করার মতো ঘাতক টি-কোষও সক্রিয় হয়েছে। এই টিকার কোনও খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি। ভারত আগেই জানিয়েছিল, রুশ টিকার ট্রায়ালের প্রতিটা পদক্ষেপের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। এই টিকা কার্যকরী প্রমাণিত হলে তবেই ভারতে তার উৎপাদন ও ট্রায়ালের কথা ভাবা যাবে। রাশিয়ার স্পুটনিক ভি টিকার তৃতীয় স্তরের ট্রায়াল চলছে। ৪৫টি মেডিক্যাল সেন্টারে প্রায় ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই ট্রায়ালের তত্ত্বাবধানে রয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, সৌদি আরব, ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ফিলিপিন্সে টিকার তৃতীয় স্তরের ট্রায়াল করতে পারে রাশিয়া। সেই তালিকায় ভারতের নামও রয়েছে। রাশিয়ার ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সিইও কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, ভারত সহ বিশ্বের ২০টি দেশে টিকা তৈরির ইচ্ছা রয়েছে তাদের। ভারতের একাধিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আছে যারা রুশ টিকার ফর্মুলা অনুযায়ী টিকা তৈরি করতে পারবে। এই পার্টনারশিপ তৈরি হলে দুই দেশই চাহিদা মতো টিকা উৎপাদন ও বিতরণ করতে পারবে।