সৃজিত মুখার্জীর পদাতিক।
শেষ আপডেট: 16th August 2024 12:50
ছবি- পদাতিক
সংলাপ, চিত্রনাট্য, পরিচালনা- সৃজিত মুখোপাধ্যায়
অভিনয়- চঞ্চল চৌধুরী, মনামী ঘোষ, কোরক সামন্ত, জিতু কমল
প্রযোজনা- ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন
দ্য ওয়াল রেটিং- ৮.৫/১০
"আমি যে ধরনের ছবি করতে চাই, তাতে বাধা প্রচুর। পাহাড় প্রমাণ বাধা, পদে পদে বাধা। টাকাওয়ালা প্রোডিউসারকে আমার পছন্দ মতো ছবি করতে রাজি করানো দুঃসাধ্য ব্যাপার। ৪-৫ বছর আগেও দেখেছি, আমি এক একটা ছবি করেছি, তাতে হয়তো আমার মন ভরেছে, কিন্তু পরের ছবি করবার সুযোগ ততই কমে আসছে, কারণ সে ছবিও ফ্লপ করেছে। প্রোডিউসার শিউরে ওঠেন, গুটিয়ে যান। আমি যে বই করতে চাই, সত্যি বলতে কী, তা সকলের ভাল লাগবে না। আমার ছবির নির্বাচিত দর্শক আছে। সারা পৃথিবীর সেই নির্বাচিত দর্শককে একত্রিত করতে পারলেই আমার ছবি করা সার্থক।"
নিজের ফিল্ম মেকিং নিয়ে এমন কথাই অতীতে লিখেছিলেন কিংবদন্তি মৃণাল সেন। একদিনে তিনি কিংবদন্তি হয়ে যাননি। এই কাজের সামান্য পরিচিতি আর ঠিকঠাক প্রযোজক পেতেই তাঁকে অনেক ঘাম, রক্ত ঝরাতে হয়েছিল। মৃণাল সেনের ফরিদপুরের ছাত্রজীবন থেকে কলকাতা শহর তথা বিশ্বব্যাপী এক কিংবদন্তি হয়ে ওঠার জীবন্ত-দলিল সৃজিত মুখোপাধ্যায় তুলে ধরেছেন তাঁর সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত 'পদাতিক' ছবিতে।
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এ অঞ্জন দত্ত পরিচালিত 'চালচিত্র এখন' ছবিটি দেখে মুগ্ধ হন অনেকেই। পরে সে ছবি হইচই ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আসে, যা অনেকে দেখেছেন। সে ছবিতে অঞ্জন নিজেই তাঁর 'মৃণালদা'র ভূমিকায়। যদিও অঞ্জনের ছবি 'মেকিং অফ চালচিত্র'। এক গুরু-শিষ্যর গল্প। সেদিক থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবির আঙ্গিক ভিন্ন। সম্পূর্ণ মৃণাল সেনের জীবন কাব্য পর্দায় এঁকেছেন সৃজিত।
এই ছবি দেখার আগে একটা সংশয় ছিল, অঞ্জনের মতো সেই মুগ্ধতা কি তৈরি হবে? না চাইতেও তুলনা এসেই যাচ্ছিল। সে সব সংশয় দূর করে দিলেন টলিউডের ফার্স্টবয়। আবার নতুন করে বিস্মিত হতে হল সৃজিতের ছবি নির্মাণশৈলী দেখে। 'পদাতিক' ভাবাল, 'পদাতিক' কাঁদাল। যত ছবি এগোতে থাকে, পরতে পরতে ভাল লাগা তৈরি হতে থাকে। শেষে বলতেই হয় 'পদাতিক' ইতিহাস গড়ল।
সৃজিতই প্রথম পরিচালক, যিনি প্রথম মৃণাল সেনকে মূলস্রোতে আনলেন। 'পদাতিক' সর্বস্তরের মানুষকেই ভাল লাগা দেবে। যাঁরা মৃণাল সেনের ছবি দেখতে আগ্রহ পান না, তাঁদেরও মৃণাল সেনের ছবি ভালবাসতে শেখাবে সৃজিতের 'পদাতিক'। মানুষ মৃণাল সেনকে চেনাবে। শুধুই এক নাকউঁচু পরিচালক হিসেবে নয়, এক স্ট্রাগলার হিসেবেও। তিনি কলকাতার ভূমিকম্পে তাঁর সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে বাঁচাতে ভাঙা ঘরে কী পরিমাণ স্ট্রাগল করেন, তা দেখে চমকে যেতে হবে।
একই প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসানের দুটি ছবি 'অপরাজিত' ও 'পদাতিক'। পরিচালক অনীক দত্ত 'অপরাজিত' ছবি করেছিলেন পুরোটাই সাদা-কালোতে। কিন্তু সৃজিত হাঁটলেন একটু অন্য ভাবে। তাঁর ছবি বর্তমান আর অতীত নস্ট্যালজিয়ার মেলবন্ধন। রঙিন আর সাদা-কালো মিলেমিশে এক লেজেন্ডের জীবনচিত্র। সৃজিতের ছবির সবথেকে ভাল লাগা, তিনি মৃণাল সেনের বাস্তব জীবনের দৃশ্যগুলির সঙ্গে মৃণাল সেন পরিচালিত ছবিগুলির দৃশ্যকে মিলিয়ে দেন। কী অদ্ভুত ভাবে মনে করিয়ে দেন 'বাইশে শ্রাবণ', 'আকালের সন্ধানে' বা 'একদিন প্রতিদিন'কে। ছবির দুই সূত্রধর কোরক সামন্ত ও চঞ্চল চৌধুরী। দু'জনেই কোরক আর চঞ্চল হয়েই মৃণাল সেনের জীবনের কথা আমাদের শোনান। রঙিন থেকে সাদাকালো যাত্রা শুরু হয়।
ফরিদপুরে মৃণালের বেড়ে ওঠা থেকে কলকাতায় পদার্পণ। হেরে যেতে যেতে জিতে যাওয়ার গল্প। কখনও প্রেমিক মৃণাল সেন, কখনও বা স্বামী মৃণাল, বাবা মৃণাল, বন্ধু মৃণাল কখনও বা পরিচালক মৃণাল। সব রূপে ধরা দিয়েছেন তিনি এই ছবিতে। সৃজিত নিজেই এই ছবির সংলাপ লিখেছেন। মৃণাল পুত্র কুণাল সেনের থেকে অনেকটাই সাহচর্য পেয়েছেন সৃজিত। কুণাল সেন বাবাকে 'বন্ধু' বলে ডাকতেন। সেই বাবা-ছেলের বন্ধুত্বটাও 'পদাতিক'-এ ধরা পড়েছে। যখন বিদেশ ফেরত ছেলেকে (কুণালের ভূমিকায় সম্রাট চক্রবর্তী) মৃণাল সেন (চঞ্চল চৌধুরী) জিজ্ঞেস করেন, 'মহাপৃথিবী কেমন লাগল?' ছেলের স্পষ্ট জবাব, তাঁর 'মহাপৃথিবী' ভাল লাগেনি। আবার যখন প্রতি কথায় নবতিপর মৃণাল সেন ভাবছেন স্ত্রী গীতা সেন তাঁর পাশেই আছেন, আদতে তখন স্ত্রী প্রয়াত, সেসময় ছেলেই বাবার বন্ধু হয়ে উঠছে।
১২৬ মিনিটের 'পদাতিক' ছবির গল্প বলে ছবি দেখার উত্তেজনা নষ্ট করা উচিত নয়। তবে কিছু দাগ কাটা দৃশ্যের কথা বলতেই হয়। ছবির ট্রেলার দেখে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল, একজন কিংবদন্তি পরিচালকের বাথরুমে নগ্ন দৃশ্য ছবিতে দেখানো স্পর্ধা কিনা।
এ প্রসঙ্গে মনে করতে হয় মৃণাল সেনেরই একটি লেখার অংশ। তিনি নিজেই লিখেছিলেন, 'নগ্নতা বা চুম্বনে আমার আপত্তি নেই, না বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। আইজেনস্টাইন যাকে বলেছেন ফিজিক্যাল পারসেপসানে শুধুমাত্র নগ্ন দৃশ্যটাকেই দেখা হয়, ইন্টেলেকচুয়াল পারসেপসানে কোন উত্তরণ ঘটেনি। আমার মনে আছে পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে একটা সুইডিশ ছবি এসেছিল। ছবিটিতে এমন কিছু শট ছিল, যে ছবিটা দেখানো যায় কিনা তা নিয়ে বিতর্ক উঠল। তাঁরা প্রস্তাব দিলেন, সময় যখন কম, তখন শুধু ওই দৃশ্যের রিলটা দেখলেই হয় না? কিন্তু ওই রিলটা দেখলেই হবে না, তাকে প্রপার কনটেক্সটে দেখতে হবে।'
অর্থাৎ ছবির যে কোনও দৃশ্যেরই বিচার করতে গেলে তার প্রাসঙ্গিকতার নিরিখে করা উচিত। আর সেই জায়গাতেই তরুণ মৃণালের চরিত্রে কোরক সামন্তর নগ্ন দৃশ্যটি চোখে জল আনে। একটি বেকার ছেলে শুধুই ভাল ছবি বানানোর আশায় বেঁচে থাকে, কিন্তু সে সফলতা পায় না। তার মনে হয়, অন্ধকূপের মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের চাকরি বেছে নেওয়াই ভাল। কিন্তু পাশের মানুষটি, তাঁর স্ত্রী, তাঁর প্রকৃত বন্ধু ছিলেন বলেই মৃণাল সেনের থেকে আমরা 'ভুবন সোম', 'আকাশ কুসুম', 'কলকাতা ৭১' পেলাম। স্ত্রী গীতা সেন শত অভাব-অনটনও হাসি মুখে সয়েছিলেন, বর একদিন বিখ্যাত পরিচালক হবে, ভাল ছবি বানাবে এই আশায়। সেভাবেই সৃজিত অসীম সাহস নিয়ে এ ছবিতে মৃণাল-গীতার চুম্বন দৃশ্য রেখেছেন। কিন্তু সেখানে অশ্লীলতার দাগ নেই, বরং আছে বিজয়ের দাগ।
মৃণাল সেনের স্ট্রাগল থেকে একের পর এক উত্থানও উঠে এসেছে ছবিতে। উত্তম ভক্তরা বলে থাকেন, উত্তমকুমার মৃণাল সেনের শাপে-নেউল সম্পর্ক ছিল। কিন্তু উত্তমকে ভিলেন বানাননি সৃজিত। মৃণাল সেন একমাত্র পুত্র কুণালের জন্মের সময়ও উত্তম-সাবিত্রীর 'রাতভোর' ছবির শ্যুট করছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের প্রযোজনায়। উত্তম নিজের স্টারডম দূরে সরিয়ে সেদিন কাজ প্যাক আপ করিয়ে নিজের গাড়ি মৃণাল সেনকে দিয়ে দেন স্ত্রীর কাছে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য।
পর্দায় কুণাল সেনের জন্ম মুহূর্ত যখন দেখানো হচ্ছে, তখন দর্শকাসনে বসে কুণাল সেনেরও চোখে জল। ছবি দেখার পরে কুণাল সেনের একটাই অনুভূতি, 'আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি খুব!' মৃণাল সেনের দারিদ্রের ভাড়ার ঘর থেকে বড় ড্রয়িং রুমের অভিজাত ফ্ল্যাট। সমস্ত পরিবর্তনটাই সময়ের দলিলে ফুটে উঠল ছবিতে। ছবির একটি দৃশ্য আর তার শিল্প নির্দেশনা অভূতপূর্ব, যেখানে বৃদ্ধ চঞ্চল চৌধুরী মৃণাল সেন রূপে ড্রয়িং রুমের দরজা খুলতেই সামনে হাজির হয় আদিগন্ত 'খণ্ডহর'।
তরুণ মৃণাল কোরক সামন্ত যতটা সাবলীল, পরিণত ও ঝকঝকে, বৃদ্ধ মৃণালের ভূমিকায় চঞ্চল চৌধুরীও তেমনই অনন্য। পরিণত বয়সের চঞ্চল হাঁটা, চলা সবটাই যেন মৃণাল সেন। এমনকি তিনি নিজকণ্ঠেই চলচ্চিত্রের পদাতিক হয়ে উঠেছেন। ততটাই তাঁর পাশে উজ্জ্বল মনামী ঘোষ। কে বলবে, এই মনামীই নাকি সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন বা ভূতের ভবিষ্যতের সেই আইটেম ডান্সার! চলচ্চিত্রে সিরিয়ালের অভিনেত্রীরা কম সুযোগ পান। মনামীর জীবনে গীতা সেন চরিত্রটি বড় দামি এক মাইলস্টোন। মনামীকে আজকাল টেলিভিশন ঠিক মতো ব্যবহার করে না। কিন্তু মনামী উপযুক্ত জায়গা পেয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি কতটা পারফেক্ট। এর পিছনে অবশ্য আরও একজনের কৃতিত্ব রয়েছে, মেক আপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু। যার রূপটান ছাড়া অবিকল চরিত্র আঁকা হতো না। আরও উল্লেখ্য, পোশাক পরিকল্পনায় অনবদ্য সাবর্ণী দাস। অপরাজিত রায় এখানে মানিক্য রায়। তরুণ জিতু কমল যুবক ও বৃদ্ধ দুই রূপেই ধরা দিয়েছেন। জিতুর বয়স্ক সত্যজিৎ মেক আপ এই প্রথম। জিতু সৃজিতের পরিচালনাতেও অনবদ্য। আজকাল যেন 'সত্যজিতু' তিনিই।
অপরাজিত-তে অনীক দত্ত জিতু কমলকে নিখুঁত করে গড়তে গিয়ে আশেপাশের চরিত্র গুলি অনেকাংশে দুর্বল করে ফেলেছিলেন। বিধান রায়ের উদাহরণ যেমন। কিন্তু সৃজিত এখানেই এগিয়ে। তিনি দুর্গা মূর্তি গড়তে গিয়ে চালচিত্রের দেবদেবীদেরও নিখুঁত গড়েছেন। পদাতিক একটা বিশাল সময়কে ধরেছে ছবিতে। বহু বিখ্যাত মানুষের বহু ঘটনা ও তাঁরা স্বয়ং ছবিতে উপস্থিত।
প্রথমেই বলতে হয় রবীন্দ্রনাথের (অলোকেশ ভট্টাচার্য) শোকমিছিল, সঙ্গে সাহানা বাজপেয়ীর কণ্ঠে অনবদ্য গান 'সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।' দেখানো হল রবীন্দ্রনাথের দাড়ি ছিঁড়ে নেওয়ার ঘটনাও। তেমনই অসাধারণ পারিপার্শ্বিক চরিত্রায়ণে জওহরলাল নেহেরু (বরুণ চন্দ), ইন্দিরা গান্ধী (অবন্তিকা আকেরকর), হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (পদ্মনাভ দাশগুপ্ত), নিমাই ঘোষ (রাহুল সেনগুপ্ত)। তরুণ অমিতাভ (রাহুল দেব বসু), উত্তমকুমার (গৌরব রায়চৌধুরী)। ছবির কিছু দৃশ্য দাগ কাটে গভীরে, যেমন মৃণাল-গীতার সংসারে হঠাৎই শেষ অবস্থায় ঋত্বিক ঘটকের (সত্রাজিৎ সরকার) লুচি-আলুরদম খেতে চলে আসা।
চলচ্চিত্রের তিন দেবতাকেও মেলালেন সৃজিত। একটি দৃশ্যে দেখা যায়, ঋত্বিক ঘটক মারা গেছেন, হাসপাতালে তাঁর খাটের দু'দিকে দাঁড়িয়ে মৃণাল ও সত্যজিৎ। মৃণাল-সত্যজিতের শেষ বেলার আড্ডাটিও মন ছুঁল, দেখে মনে হচ্ছিল, মৃণাল সেন পূর্ণ জীবন বেঁচেছেন। আর ক'বছর বাঁচলেই তিনি শতায়ু হতেন। বেশিদিন বাঁচার কারণে তাঁকে বন্ধুদের মৃত্যু,সহকর্মীদের মৃত্যু, শালা অনুপ কুমারের মৃত্যু, স্ত্রী গীতার মৃত্যু-- সব যন্ত্রণা দেখতে হয়েছে। অনুপ কুমার গীতা-মৃণালের অভাবের সংসারের মধুসূদন দাদা ছিলেন, সে কথা উল্লেখ হলেও অনুপ কুমার পর্দায় এলেন না, যা একটু হতাশ করল।
'পদাতিক' ছবির আর এক সম্পদ সঙ্গীত। এই প্রথম সোনু নিগম ও অরিজিত সিং-- দু'প্রজন্মের বিখ্যাত গায়ক দ্বৈত সঙ্গীত গাইলেন সলিল চৌধুরীর 'তু জিন্দা হে' হিন্দি গণসঙ্গীতে। এই গানের দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় গায়ে কাঁটা দেয়। ছবির শেষেও রক্ত গরম করে দেয় কবীর সুমনের কণ্ঠে 'জনতার হাতে হাতে'। রূপঙ্কর 'ও আলোর পথযাত্রী' গেয়ে বহুদিন পর আলো খুঁজে পেলেন। আবহ সংগীতায়োজনে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তও চমৎকার।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই বলবেন, বাংলা ছবি রিলিজের কী দরকার? লাভ-লোকসানের কথা যদি ছেড়েও দিই, তবু 'পদাতিক' আর মৃণাল সেন সময় বদলের গল্প বলে। ভাঙা ঘরেও যে খেলাঘরের স্বপ্ন দেখা যায়, সাধনা দিয়ে যে কোজাগরী চাঁদ ওঠানো যায়, তাই বলে মৃণালের জীবনকাব্য। ছবির শেষ দৃশ্যে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবিতে রাজপথে মৃণাল সেনের আধশোয়া ভিক্টরি পোজ মন ভরিয়ে দেয়। শৈল্পিক ও বাণিজ্যিক-- দুই দিকেই 'পদাতিক' অদ্বিতীয়।