শেষ আপডেট: 20th September 2023 14:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কানাডার পর ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলল তুরস্ক (Turkey president)। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের সভায় প্রদত্ত ভাষণে আচমকাই কাশ্মীর নিয়ে সরব হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোগান। ভাষণে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা দূর করতে কাশ্মীরে ন্যায়ের পথে শান্তি প্রতিষ্ঠা জরুরি।
সদ্যই অনন্তনাগে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সঙ্গে ভারতীয় সেনা ও জন্মু-কাশ্মীর পুলিশের পাঁচদিনের লড়াই শেষ হয়েছে। সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে অফিসার ও জওয়ান মিলিয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। সেনার গুলিতে প্রাণ গিয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গির। এই দফায় পাকিস্তান খুব বেশি গলা চড়ায়নি। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এমন সময় রাষ্ট্রপুঞ্জের (united nations) ভাষণে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনায় ভারত বিস্মিত।
এরদোগান এবার বলেছেন, কাশ্মীর নিয়ে দীর্ঘদিন বিবাদ চলছে। আর বিবাদ না বাড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা দরকার। কূটনৈতিক মহল মনে করে, এই পরামর্শমূলক বক্তব্যও আসলে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ।
এমনীকে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্র মধুর বলেই কূটমনৈতিক অঙ্গনের খবর। দু’জনের কার্যধারাতেও বেশ মিল। নরেন্দ্র মোদীর মতো এরদোগানও তাঁর দেশে জাতীয়তাবাদকেই প্রধান রাজনৈতিক হাতিয়ার করেছেন। মোদীর মতো তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিরোধী নেতা-নেত্রীদের কণ্ঠরোধ, এজেন্সি দিয়ে হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমে মোদী ও এরদোগানকে এক করে দেখানো হয়। তবে সব পেরিয়ে এরদোগান তুরস্কের গদি নিজের দখলে রেখেছেন। নতুন করে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি এসেছিলেন তিনি।
তবে এরদোগান বাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সদস্য পদের দাবিকে সমর্থন করেছেন। বলেন, কেন মাত্র পাঁচটি দেশের (আমেরিকা, চিন, রাশিয়া ফ্রান্স ও ব্রিটেন) হাতে গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার ভার থাকবে।
সদ্য নিজের দেশে বিপুল ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় ফেরা এরদোগানের কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলার পিছনে কূটনীতি এবং কৌশন বোঝার চেষ্টা করছে নয়া দিল্লি। এমাসের গোড়ায় জি-২০ সম্নেলনে যোগ দিতে এসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, অসামরিক বিমান চলাচল এবং জাহাজ চলাচলের মতো সম্ভাবনাময় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি স্থান পায়।
জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতির দায়িত্ব ভারত সফলভাবে পালন করায় এরদোগান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তুরস্কে ভূমিকম্পের পর দ্রুত ত্রাণ পাঠানো এবং ‘অপারেশন দোস্ত’–এর মাধ্যমে উদ্ধার কার্যে সহায়তার জন্য তিনি ভারতকে ধন্যবাদ জানান। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অবশ্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও দু-দেশের সম্পর্ক নিয়ে ভাল ভাল কথা বলেছিলেন। দেশে ফিরে সুর বদলে ফেলেন তিনি।
কানাডা যেন নয়া পাকিস্তান, ট্রুডোর দেশে সাবধান, দেশবাসীকে সতর্ক করল দিল্লি