শেষ আপডেট: 29th May 2023 04:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তৃতীয়বারের জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রিসেপ তায়ইপ এরদোগান (Recep Tayyip Erdogan)। রবিবারের ঐতিহাসিক রান-অফ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আপাতত ২০২৮ সাল পর্যন্ত তুরস্কের শাসন ক্ষমতা থাকবে এরদোগানেরই হাতে (Erdogan wins president election)।
ভোট গণনা শুরু হয় তারপর (Turkey election 2023)। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা না হলেও সে দেশের সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে ৯৯.৪৩% ব্যালট বাক্সের ভোট গণনার পর এরদোগানের প্রাপ্ত ভোট ৫২.১৬ শতাংশ। সেই জায়গায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিরিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৮৪% ভোট। তুরস্কের নির্বাচনী বোর্ডের প্রধান ইতিমধ্যেই এরদোগানের জয়ের বিষয়টি ঘোষণা করেছেন।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেই তুরস্কের ইস্তানবুল এবং রাজধানী আঙ্কারাতে দুটি পৃথক ভাষণে তাঁকে ভরসা করে আরও ৫ বছরের জন্য দেশের শাসনভার তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এরদোগান ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশবাসীকে। 'আশা করছি, আমি আপনাদের ভরসার যোগ্য হয়ে উঠতে পারব, ঠিক যেভাবে গত ২১ বছর ধরে আমি সেই বিশ্বাসের মান রেখে চলেছি,' জয় নিশ্চিত হওয়ার পরই ইস্তানবুলে সরকারি বাসভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে জনসাধারণের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন এরদোগান।
'বিদায় কেমাল!' একইসঙ্গে প্রতিপক্ষকে শ্লেষের তিরে বৃদ্ধ করেছেন তুরস্কের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, গত কুড়ি বছর ধরেই তুরস্কের শাসন ক্ষমতার শীর্ষে রয়েছেন এরদোগান। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে জিততে পারেননি তিনি। গত ১৪ মে প্রথম দফার ভোটে তাঁর প্রাপ্য ভোটের হার ছিল ৪৯.৫২ শতাংশ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল পেয়েছিলেন ৪৪.৮৮% ভোট। সেই নির্বাচনে মাত্র ৫.২% ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন সিনান ওগান। ১৪ তারিখের ওই নির্বাচনটিই হল একমাত্র নির্বাচন যেখানে সরাসরি জিততে ব্যর্থ হন এরদোগান। তবে রবিবার দ্বিতীয় দফার ভোটে সেই খামতি পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি। রবিবারের রান অফ নির্বাচনে এরদোগানকে সমর্থন দিয়েছেন সিনান ওগান।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল সেদেশের একজন প্রাক্তন আমলা। এবারে নির্বাচনী প্রচারে এরদোগানের বিরুদ্ধে তিনি মূল হাতিয়ার করেছিলেন মূল্যবৃদ্ধি সহ তুরস্কের একাধিক অর্থনৈতিক সংকটকে। এছাড়া কয়েক মাস আগের ভূমিকম্পে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর পিছনে এরদোগান সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করে প্রচারে নেমেছিলেন তিনি।
ভূমিকম্পে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর পর প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল, এবারের নির্বাচনে হয়তো গদি হারাতে পারেন এরদোগান। কিন্তু কার্যক্ষেত্র দেখা যায়, ১৪ তারিখ প্রথম দফা নির্বাচনে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে প্রত্যাশার থেকেও বেশি ভোট পেয়েছেন ২ বারের প্রেসিডেন্ট। যদিও সেই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি তিনি। তবে দ্বিতীয় দফার ভোট শেষে জয়ের হাসি রইল সেই তাঁর মুখেই।
শাহের সফরের কয়েক ঘণ্টা আগেই ফের উত্তপ্ত মণিপুর! ১ পুলিশকর্মী সহ মৃত্যু ৫ জনের