শেষ আপডেট: 21 March 2024 14:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: দশ বছরের মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল গৃহকর্ত্রীর বাড়ির চিলেকোটার ঘর থেকে। নাবালিকা ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত। সোমবার থেকে নাবালিকা খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনা জানাজানি হতে গৃহকর্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ করেছেন নাবালিকার মা। একই সঙ্গে ছেলেকে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই পুলিশ নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দুই অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় বুধবার সন্ধে থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে কেতুগ্রামের সুলতানপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাবালিকার বাড়ি কেতুগ্রাম থানা এলাকার রাইখা গ্রামে। পাশের গ্রাম সুলতানপুরে একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত ওই নাবালিকা। সোমবার সে প্রতিদিনের মতোই কাজ করতে গেছিল। কিন্তু তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। মেয়ে ঘরে না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন নাবালিকার মা। পড়শিদের নিয়ে মেয়ের খোঁজ শুরু করেন। সুলতানপুরে মেয়ের গৃহকর্ত্রীর বাড়িতেও তার খোঁজ নিতে যান। কিন্তু সেখানে বাড়ির কর্ত্রী তাঁদের জানায়, যে ওই নাবালিকার অনেকক্ষণ আগেই বাড়ি ফিরে গেছে।
মেয়ের খোঁজ না পেয়ে নাবালিকার মা পুলিশের কাছে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী নাবালিকার মাকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান। তিনি জানান, ওই নাবালিকার খোঁজ পাওয়া গেছে। সেই খবর পেয়ে গৃহকর্ত্রীর বাড়িতে যান ওই নাবালিকার মা। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার দেহ ওই বাড়িরই চিলেকোঠার ঘরে ঝুলছে। এমন ঘটনা শোনার পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন নাবালিকার মা। নিখোঁজ নাবালিকার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতে গ্রামবাসীরাও ওই গৃহকর্ত্রীর বাড়িতে চড়াও হন। ডাকা হয় পুলিশকেও।
নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ওই গৃহকর্ত্রীর ছেলে ধর্ষণ করে খুন করার পর ঝুলিয়ে দিয়েছে। দেহ লোপাট করতে ছেলেকে মদত দিয়েছেন ওই গৃহকর্ত্রী। তাঁর আরও অভিযোগ, গৃহকর্ত্রীর ছেলে মেয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত। তিনি অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবি করেছেন।
নাবালিকার মা জানিয়েছেন, পরিবারে অর্থসংকট রয়েছে। তাই নাবালিকা মেয়েকে পরের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এমন কিছু ঘটবে, সেটা ভাবতেও পারেননি।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চিলেকোঠার ঘর থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অভিযুক্তদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।