শেষ আপডেট: 30th November 2019 08:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত কয়েক মাসে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে তাঁর। রানাঘাটের স্টেশন থেকে মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে উঠেছেন রাণু মণ্ডল। কিন্তু যত নাম হয়েছে, তত বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তাঁর কথাবার্তা, হাবভাব থেকে শুরু করে মেকআপ, সব কিছু নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক মিম। নেটিজেনরা হাসির খোরাক বানিয়ে ছেড়েছেন তাঁকে। এই ঘটনায় স্বভাবতই দুঃখ পেয়েছেন তাঁর মেয়ে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন এই সব কিছু তাঁর মা নিজেই ডেকে নিয়ে এসেছেন। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে রাণু মণ্ডলের মেয়ে এলিজাবেথ সাথী রায় একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, "মাকে নিয়ে এভাবে মজা করতে দেখে আমার খারাপ লাগে। এটা ঠিক যে মায়ের সবসময়ই ব্যবহারে কিছু সমস্যা ছিল। কখনও নিজেই এই অপমান ডেকে আনে মা। কিন্তু এটা ভেবে খারাপ লাগে যে মানুষটা সারাজীবন কষ্ট করে অবশেষে একটু সাফল্যের মুখ দেখেছে তাকে নিয়ে এত ট্রোল করা হয়।" কয়েকদিন আগে একটি দোকানে এক মহিলা রাণু মণ্ডলের পিঠে হাত রেখে সেলফি তুলতে যান। তখন রীতিমতো ধমকের সুরে রাণু তাঁকে বলেন, "আমার গায়ে হাত দেবেন না। আমি সেলিব্রেটি।" এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হয়ে যায়। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে ওঠে। সবাই রাণু মণ্ডলের ব্যবহারের সমালোচনা করতে থাকেন। তাঁকে নিয়ে অনেক রকমের মিম বের হয়। এই প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তাঁর মেয়ে। কেন তাঁর মাকে এভাবে হাসির খোরাক বানানো হচ্ছে তার একটা কারণও বলেন তিনি। এলিজাবেথ বলেন, "আমি মনে করি এইসব ট্রোলিংয়ের পিছনে নিশ্চয় কারণ আছে। কিছুদিন আগে একটা দোকানে এক মহিলা ফ্যানকে মা গায়ে হাত দিতে নিষেধ করেন। আমার মনে হয় সবাই এই ধরনের ব্যবহারে বিরক্ত হবেন। কারণ সাধারণ মানুষই মাকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন। তাই এই ধরনের ব্যবহারের পর তাঁরাই মায়ের ছবি, ভিডিও নিয়ে ট্রোল করছেন। তাঁর মিম বানাচ্ছেন।" সম্প্রতি এই ফ্যাশন শোতে র্যাম্পে হাঁটেন রাণু। সেইসময় তাঁর চড়া মেকআপের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যদিও পরে মেকআপ শিল্পী আসল ছবি প্রকাশ করে জানান সেই ছবিটা নকল ছিল। এই ঘটনার ব্যাপারে রাণুর মেয়ে বলেন, "আমি বুঝতে পারছি না কেন মাকে নিয়ে এসব করা হচ্ছে। মা একজন গায়িকা, মডেল নন। তাহলে তাঁর র্যাম্পে হাঁটার কোনও কারণ নেই। মায়ের উচিত এসব বন্ধ করা। কারণ মা যে পরিবারে বড় হয়েছেন সেখানে নিজেকে সাজানো বা মেকআপ করার কোনও সুযোগ ছিল না। তাই এসব না করে নিজের লক্ষ্যে ফোকাস থাকা উচিত মায়ের। আমি জানি না কে বা কারা মাকে এসব বোঝাচ্ছে। এতে তাঁর আরও ক্ষতি হচ্ছে।"