Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 27 February 2024 21:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যসভা ভোটে ক্রস ভোটিং বা প্রতিপক্ষের বিধায়ককে ম্যানেজ করে অনুপস্থিত রাখা নতুন খেলা নয়। বাংলায় এর ঐতিহাসিক নজির রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশে যা ঘটেছে তা এক প্রকার বেনজির।
৬৮ আসনের হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের কাছে ৪০ জন বিধায়ক রয়েছে। বিজেপির কাছে রয়েছে ২৫ জন বিধায়ক। রাজ্যসভা ভোটের সহজ অঙ্কে কংগ্রেসেরই জিতে যাওয়ার কথা। কিন্তু এই হারার খেলাতেও দলের প্রার্থী হর্ষ মহাজনকে জিতিয়ে আনলেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা।
কীভাবে?
এদিন ভোটের পর দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের ৬ জন বিধায়ক ক্রস ভোটিং করেছেন। সেই সঙ্গে বিধানসভায় ৩ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন জুটিয়ে ফেলেছে বিজেপি। তার ফলে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ৩৪টি ভোট পেয়েছেন। আবার বিজেপি তাদের ২৫ জন বিধায়কের পাশাপাশি কংগ্রেসের ৬ জন এবং ৩ জন নির্দলের ভোট নিয়ে মোট ৩৪টি ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও হর্ষ মহাজনের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা সমান সমান হয়ে যায়।
রাজ্যসভা ভোটে নিয়ম রয়েছে এ ধরনের বিরল ঘটনায় লটারি করে ফলাফল ঘোষণা করার। এদিন ভোট গণনার পর লটারি করা হয়। সেই কাগজের ভাঁজ খুলে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনের নাম উঠেছে।
রাজ্যসভা ভোটে প্রতিটি পার্টি হুইপ জারি করে। কংগ্রেসও হুইপ জারি করেছিল। সেই হুইপ অমান্য করে ক্রস ভোট করলে তা দল বিরোধী কার্যকলাপের সামিল। এখন দেখার কংগ্রেস এই ৬ জন বিধায়কের বিধানসভার সদস্যপদ বাতিলের জন্য পদক্ষেপ করে কিনা।
এদিন ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হলেন, হর্ষ মহাজনকে এই জয়ের জন্য অভিনন্দন। কিন্তু ৪০ জন বিধায়কের দলকে যেভাবে ২৫ জন বিধায়কের দল হারাল তা এক প্রকার বেআইনি। গোটা ঘটনা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে বিচারের আর্জি জানানোর কথাও ভাবছে কংগ্রেস।
অন্যদিকে বিজেপি এরই মধ্যে আস্ফালন শুরু করে দিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, হিমাচলে কংগ্রেস সরকার সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। এ বার পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত হোন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকু।
Advertisement
Advertisement