শেষ আপডেট: 18th March 2024 12:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তামিলনাড়ুতে ফের রাজ্যপাল এন রবির সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের। ডিএমকে-র এক বিধায়কের মন্ত্রী হিসাবে শপথ বাক্য পাঠের অনুষ্ঠান আয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজ্যপাল রবি। ফলে মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিতে পারছেন না প্রবীণ ডিএমকে নেতা কে পানমুডি।
দক্ষিণেই ওই রাজ্যে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধ হালে বাকি সব রাজের নজিরকে ছাপিয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টও প্রশ্ন তুলেছে। তারমধ্যে অন্যতম হল বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল কারণ না জানিয়ে আটকে রাখা। তামিলনাড়ুর একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এমনকী রাজ্যপাল রবিকে তাঁর সাংবিধানিক সীমাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিরোধ মেটার কোনও লক্ষণ নেই। সুপ্রিম কোর্টের হুঁশিয়ারির পরও রাজ্যপাল বাজেট অধিবেশনের দিন বিধানসভায় গিয়েও ভাষণ পাঠ না করেই নজরিবিহীনভাবে ওয়াকআউট করেন।
এবারের বিরোধের সূত্রপাত প্রাক্তন মন্ত্রী পানমুডির বিরুদ্ধে থাকা মামলা নিয়ে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় নিম্ন আদালত পানমুডিকে ক্লিনচিট দিলেও মাদ্রাজ হাই কোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর কারাবাসের সাজা দেয়। ফলে তাঁর মন্ত্রিত্ব চলে যায়। খারিজ হয়ে যায় বিধানসভার সদস্যপদ।
কিন্তু গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। ফলে তিনি বিধায়ক পদ ফিরে পান। মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন এবার পানমুডিকে তাঁর শিক্ষা ও খনি দফতরের মন্ত্রী করে ফিরিয়ে আনতে চান। সে জন্য মন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠান।
জবাবি চিঠিতে রাজ্যপাল বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট পানমুডির সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত অভিযুক্ত মন্ত্রীকে নির্দোষ বলেনি। তাই তাঁকে মন্ত্রী করা যাবে না। রাজ্যপালের এই অবস্থান নিয়ে আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বিস্মিত। তাদের বক্তব্য, বিচারাধীন মামলায় কেউ জামিনে মুক্ত থাকলে তাঁকে কোনও অবস্থাতেই মন্ত্রী হতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ বিধায়ক থাকতে পারলে মন্ত্রীও হতে পারেন।