শেষ আপডেট: 6th October 2024 13:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম মেদিনীপুর: পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হল নাবালকের দেহ। খুনে জড়িত থাকা সন্দেহে নাবালকের দিদি ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খড়গপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকার একটি মন্দির কাছে একটি পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টার রয়েছে। সেখান থেকে এক নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খড়গপুর টাউন থানার তদন্তে নামে। পুলিশ নাবালকের দিদি লিজা সিং ও তার প্রেমিক সোনু কুমারকে গ্রেফতার করে। বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় নাবালকের মাকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে নাবালকের বাবা রাজু সিংয়ের মৃত্যু হয়। পেশায় রেলকর্মী ছিলেন রাজু। মাসখানেক আগেই বাবার চাকরি পেয়েছে লিজা। শুক্রবার সন্ধে বেলা নাবালকের মা দিজিয়া দেবী খড়গপুর টাউন থানায় ছেলে নিখোঁজের অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি ছিল, ওই দিন বিকেল থেকেই নাবালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খড়্গপুর থানার পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
শনিবার দুপুরে নাবালিকদের কোয়ার্টারে যায়। সেখানে তল্লাশি চালানোর সময়ে উল্টো দিকের পরিত্যক্ত একটি কোয়ার্টার থেকে দুর্গন্ধ পায়। সেখানে তাঁরা তল্লাশি চালাতে গেলে নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে খুন করা হয়েছে ওই নাবালককে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে নাবালকের মা নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়েছেন। এই নিয়ে পুলিশের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে।
পুলিশ পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশি জেরার মুখে মৃতের দিদি লিজা ভেঙে পড়ে। পুলিশের দাবি, সে স্বীকার করেছে যে, প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে ভাইকে খুন করে সে। তবে কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মৃত বাবার চাকরি পেয়েছে লিজা। ভবিষ্য়তে ভাইকে নিয়ে এই চাকরিতে কোনও রকম অসুবিধার সৃষ্টি না হয়, তাই এই খুনের চক্রান্ত করেছিল দিদিও তাঁর প্রেমিক।
জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। মৃত নাবালকের দিদি ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে ৷ ওই নাবালককে পরিবারের সদস্যরাই খুন করে পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে রেখে এসেছিল? সঠিক কারণ জানতে মা’কেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ ৷