শেষ আপডেট: 21st May 2024 20:17
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো, মেদিনীপুর: কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া বাড়িতে হানা দিল পুলিশ। একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুষ্কৃতীর খোঁজে ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, "মমতার অত্যাচারের শিকার আমি। ভাইপোর নির্দেশে এর আগে আমার পরিবারকে হেনস্তা হতে হয়েছে। মাদক-অস্ত্র নিয়ে পুলিশ আমার ভাড়া বাড়ি গেছিল।"
মঙ্গলবার কেশপুরে সভা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কোলাঘাটের বাড়িতে তাঁর অনুপস্থিতিতেই পুলিশ সেখানে যায়। শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জনের পুলিশের একটি দল কোলাঘাটের বাড়িতে তল্লাশিতে যায়। পুলিশের তরফ থেকে যদিও জানানো হয়েছে, এক দুষ্কৃতীর খোঁজেই তাঁরা শুভেন্দুবাবুর ওই বাড়িতে গেছিল। পুলিশ সেখানে পৌঁছতেই বিজেপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সেই সময়ে শুভেন্দুবাবু কেশপুর থেকে ফিরছিলেন। পথেই পুলিশের তল্লাশির খবর পেয়ে কোলাঘাট থানায় চলে যান রাজ্যের বিরোধী দল নেতা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানে কোনও আধিকারিক ছিল না বলে দাবি করেন শুভেন্দু। দৃশ্যতই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি।
ক্ষুব্ধ বিরোধী দল নেতা বলেন, “আমার কাছে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। পুলিশের কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করার অধিকার নেই। পুলিশের কাছে যদি কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট থাকে তাহলে আমার উপস্থিতিতে তল্লাশি চালানোর অধিকার রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি।“
তাঁর বক্তব্য, "কোলাঘাটের ওসি সৌরভ চীনা এবং আইসি চম্পকরঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ আমার কোলাঘাটের অফিসে বেশ কিছু আইপ্যাকের ছেলেদের নিয়ে বাড়িতে ঢুকেছে। গেটের বাইরে ছোট গাড়িতে প্যাকেট রেখেছিল। তাতে হয়ত আগ্নেয়াস্ত্র বা জাল নোট বা মাদকদ্রব্য কিছু রেখেছিল। এসব কিছুই আমাকে ফাঁসানোর জন্য করা হচ্ছে।“
তিনি আরও বলেন, "নন্দীগ্রামে আমাদের একজন নেতা মেঘনাথ পালকে খোঁজার জন্য আমার অফিসে বিনা সার্চ ওয়ারেন্টে পুলিশ রেট করেছিল, তখন আমি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। সেখানে হাইকোর্ট সুনির্দিষ্ট অর্ডার দিয়েছে পারমিশন নেওয়ার। সেই অর্ডার অমান্য করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, এই অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও এরা সাহস পায় কোথা থেকে? এই ওসি এবং আইসির সাসপেন্ড চাই। এসপি যদি এর জন্য দায়ী থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।“