শেষ আপডেট: 4th February 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পুরুলিয়া: শেষবেলা পর্যন্ত চলছিল টানাপড়েন। ছিল উত্তেজনাও। মেলেনি হেলিকপ্টার নামার অনুমতি। সভার তো নয়ই। তবু শেষ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডে হেলিকপ্টার থেকে নেমে সড়কপথে এসে পুরুলিয়ার ভাঙরা গ্রামে সভা করলেন যোগী আদিত্যনাথ। সভায় ভিড়ের বহরে রীতিমতো আত্মতুষ্ট বিজেপি নেতারা। নবকুঞ্জের মাঠে বেশ বড়সড় জনতার সামনে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক আজাদি চাইলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “সন্ত্রাস হচ্ছে বাংলায়। সেই সন্ত্রাস দমন করতেই এসেছি। উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারা ভিক্ষে করে। আর এ রাজ্যে গুন্ডারা ভোট করায়। ” নবকুঞ্জের সভায় যোগী আসবেন কি না তাই নিয়ে সংশয় ছিল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। যেহেতু জেলা প্রশাসন জনসভা আটকাতে মরিয়া ছিল, তাই এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। শোনা যাচ্ছিল, ঝাড়খণ্ডে হেলিকপ্টার থেকে নামবেন তিনি। তারপর সড়ক পথে আসবেন পুরুলিয়ায়। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউ। এ দিন বোকারোর বারোমেস্যায় নামে যোগীর হেলিকপ্টার। সেখান থেকে গাড়িতে করে ২৮ কিলোমিটার পথ পার হয়ে সভাস্থলে পৌঁছোন তিনি। রাস্তায় বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তবে বড় গণ্ডগোল কিছু হয়নি। প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে সভা হলেও বাধা আসেনি পুলিসের তরফ থেকেও। https://www.youtube.com/watch?v=KnVH0bo_u1o&feature=youtu.be বেলা ৪টে ৩৩ মিনিট নাগাদ সভাস্থলে পৌঁছোন যোগী। ততক্ষণে জমাট ভিড় নবকুঞ্জের মাঠে। যোগী ছাড়াও সভায় ভাষণ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। রাজ্যে অনুন্নয়নের অভিযোগ করে যোগী বললেন, “ রাস্তা দিয়ে যখন আসছিলাম, দেখছিলাম ভাঙা ঘর, বিদ্যুৎ নেই, সেচের জল নেই। এ কোন বাংলা। তৃণমূলের গুন্ডাদের পকেটে যাতে টাকা না যায়, তার জন্য কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদীজী।” ১৪ মিনিটের ভাষণে ফেললেন হিন্দুত্বের তাসও। বললেন, “হিন্দু বলে গর্ব অনুভব করুন সবাই।” প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় আজ বাঁকুড়ায় যোগীর নির্ধারিত সভা বাতিল হয়েছে আগেই। একই কারণে ২ ফেব্রুয়ারি বাতিল হয়েছিল বালুরঘাট ও রায়গঞ্জের সভা। শেষপর্যন্ত পুরুলিয়ায় সভা করে ফের বোকারো থেকেই হেলিকপ্টারে চড়লেন যোগী। আরও পড়ুন: