শেষ আপডেট: 22nd August 2021 08:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাখিবন্ধনের দিন নাম না করে মমতা বন্দ্যোাধ্যায়–সহ নিজের দলের নেতাদের নেতা–মন্ত্রীদেরও বিঁধলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। রবিবার তিনি বললেন, ‘রাখির সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদের ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। এখনও বঙ্গভঙ্গ করতে চায় একদল মানুষ। বাংলার নাম পাল্টে দিতে চায়। রাজ্যকে ভৌগলিকভাবে ভাগ করতে চায়। এটা রবীন্দ্রনাথের প্রতি অবমাননা।’ রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘বাংলা’ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহুবার এবিষয়ে রাজ্যের তরফে পদক্ষেপও করা হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিতে অনড় আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। তাঁকে সমর্থন করেছেন নিশীথ প্রামানিক, সৌমিত্র খাঁ–সহ একাধিক নেতা। শনিবার তাতে গলা মেলান বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। ওয়াকিবহালের মতে, এদিন ওই দুটি বিষয়েরই নিন্দা জানিয়েছেন রাহুল। সূত্রে খবর, সম্প্রতি দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘এরাজ্যে রাখির উৎসব বহুদিন ধরেই পালিত হয়ে আসছে। এই উৎসবের একটি রাজনৈতিক এবং ভৌগলিক গুরুত্ব রয়েছে। বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় সারা বাংলায় রাখি পালিত হয়েছিল। আজও একদল মানুষ বাংলা ভাগ করতে চায়। কেউ বাংলার নাম পরিবর্তন করে ইতিহাসকে শেষ করে দিতে চায়। তাই আমি মনে করি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বঙ্গভঙ্গের গুরুত্বকে এইদিনে স্মরণ রাখা উচিত।’ তাঁর আহ্বান, ‘জাতীয়স্তরে রবীন্দ্রনাথের রাখির গুরুত্বকে সবার বোঝা উচিত।’ তৃণমূলের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করছে বিজেপি। এদিন হুগলির জেলা কার্যালয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর শিশুদের রাখি পরান। তিনি বলেন, ‘ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট থাকুক। সবাই মিলেমিশে থাকুক।’ অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভেনিউতে রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। এদিন তিনি রাখিবন্ধনের ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে লেখেন, ‘বিজেপির ছোটখাটো অনুষ্ঠান ও জমায়েতেও পুলিশ বাধা দিচ্ছে। বাংলায় বিজেপির কোনও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই।’