শেষ আপডেট: 30th July 2024 17:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পরিচালক-টেকনিশিয়ানদের দ্বন্দ্বের জট অবশেষে কাটার পথে। মঙ্গলবার পরিচালক-অভিনেতদের একাংশ দ্বারস্থ হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবান্নে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব এবং পরিচালক গৌতম ঘোষ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। সেই সাক্ষাতের পর দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তাতে স্পষ্ট মিলেছে, টালিগঞ্জের জট কেটে গেছে।
সোমবার অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে একটি বৈঠক করেছিলেন পরিচালকদের একাংশ। কীভাবে খুব দ্রুত সকলকে নিয়ে কাজে ফেরা যায়, সেই নিয়েই আলোচনা হয়। এই বৈঠকের পরে ফেডারেশনও একটি সাংবাদিক বৈঠক করে। তাতে টলিপাড়ার কাজ বন্ধের দায় পরিচালকদের উপরই চাপান ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যায়।
এরপর থেকেই কোনও 'তৃতীয় পক্ষ'-এর হস্তক্ষেপের দাবি উঠছিল। তারপরই মঙ্গলবার প্রসেনজিতরা গেছিলেন নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর পরিচালক-অভিনেতারা খুশি হয়েছেন। আশা রাখছেন, তাঁর হস্তক্ষেপের পর আর কোনও সমস্যা হবে না টলিপাড়ায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেব লেখেন, ''আশা করি সন্ধের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আর আগামীকাল থেকে শুটিংও শুরু হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।''
Thanku didi @MamataOfficial
— Dev (@idevadhikari) July 30, 2024
Hopefully everything will be resolved by evening
N will resume shooting from tomorrow
Thanks to all the Technicians ,producers, directors n all the stakeholders pic.twitter.com/Su6HqPBbzG
প্রসঙ্গত, সোমবার নিজের বাড়ির বৈঠকের পর প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, ''গোটা ইন্ড্রাস্ট্রি একটি পরিবার। এটাকে আমি মান-সম্মানের লড়াই বলব। সাধারণ পরিবারে যেমন অভাব-অভিযোগ থাকে, এখানেও আছে। কিন্তু এইভাবে একটা পরিবার ভেঙে যাক, কেউই আমরা চাই না।'' পরিচালক গৌতম ঘোষের বক্তব্য ছিল, ''এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে দু'পক্ষকেই ভাবতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে। এখানে আমরা কেউ বিভাজনে বিশ্বাস করি না। এটা একটাই ইন্ডাস্ট্রি, এখানে কোনও ভেদাভেদ নেই।''