শেষ আপডেট: 3rd July 2024 18:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সম্ভবত আজই, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ ইস্তফা দিতে চলেছেন চম্পাই সোরেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন। হেমন্ত হাইকোর্টে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর এদিনই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক বসে শাসক ইন্ডিয়া জোটের। সেখানে কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল সহ জেএমএমের বিধানসভা সদস্যরাও হেমন্তকে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে একমত হয়েছেন।
সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়া জোটের বিধায়কদের বৈঠকে চম্পাইকে সরিয়ে প্রাক্তনকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তাতে একেবারেই খুশি হননি বর্ষীয়ান নেতা। ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, চম্পাই খুবই দুঃখ পেয়েছেন। জেএমএমের বিধান পরিষদীয় দলের বৈঠকে তিনি 'অপমানিত' বোধ করছেন। তাই দেরি না করে এদিনই সন্ধ্যায় তিনি রাজভবনে গিয়ে পদত্যাগ করবেন বলে জানা গিয়েছে।
সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে চম্পাই সোরেনকে দলের কার্যকরী সভাপতির পদ দেওয়া হবে। এদিন তাঁরই সরকারি বাসভবনে শাসক জোটের নেতারা হেমন্ত সোরেনকে ফের মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত গুলাম আহমেদ মির, রাজ্য সভাপতি রাজেশ ঠাকুর এবং হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী এবং বিধায়ক কল্পনা সোরেন।
উল্লেখ্য, আর কয়েক মাস পরেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন আছে। সেই ভোটে হেমন্ত সোরেনকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে এগতে চায় ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু, একইসঙ্গে এই সিদ্ধান্ত বিজেপির হাতে অতিরিক্ত অস্ত্র তুলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, বিরোধী দল বিজেপি এই ইস্যুতে দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং পরিবারবাদী রাজনীতির হাতিয়ারে শান দিতে শুরু করবে। এদিনই আক্রমণের প্রথম ধাপ হিসেবে বিজেপির এক এমপি নিশিকান্ত দুবে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ঝাড়খণ্ডে চম্পাই সোরেনের জমানা খতম।
জেএমএমকে নিশানা করে তিনি আরও লিখেছেন, পরিবারকেন্দ্রিক দলে পরিবারের বাইরে কারও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই। প্রসঙ্গত, ৬৭ বছর বয়সি চম্পাই শুধুমাত্র জেএমএমের অভিজ্ঞ নেতাই নন, দল প্রতিষ্ঠার সময় তিনিই ছিলেন গুরুজি শিবু সোরেনের ছায়াসঙ্গী। এমনকী জানুয়ারিতে যখন হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হন, তখন রাতারাতি একটি প্রায় ভেঙে পড়া সরকারের শক্ত হাতে হাল ধরেন তিনি।