শেষ আপডেট: 15th August 2024 03:14
রফিকুল জামাদার ও অরিত্র কবিরাজ
ঘড়ির কাঁটায় রাত ১টা ২৭ মিনিট। রণক্ষেত্র আরজি করের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে এলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বিনীতকে দেখতে পেয়েই ফের একদল মানুষ পুলিশের ব্য়ারিকেড উল্টে এগিয়ে এসে বিক্ষোভের চেষ্টা শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাল্টা ধাওয়া করে। ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় জনতাকে। পুলিশের তরফে মাইকিং করেও জনতাকে ফিরে যেতে বলা হয়।
পরে পুলিশ কমিশনার বলেন, "হামলাকারীদের কাউকে ছাড়া হবে না। যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হবে।" এদিনের রাতের পরিস্থিতির জন্য মিডিয়ার একাংশকেও দায়ী করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, "পুলিশ প্রথম থেকেই আরজি করের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেছে। তা সত্ত্বেও মিডিয়ার একাংশ যেভাবে অতি সক্রিয় হয়ে ভুল প্রচার করে, তাতেই এদিনের পরিস্থিতি।" আরজি কর নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমেও গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সিপি বলেন, পুলিশ সব কিছু নজর রাখছে।
পুলিশ কমিশনার এও বলেন, "সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমের একাংশের ভুল এবং ক্ষতিকারকে প্রচারের কারণে কলকাতা পুলিশের সম্মানহানি ঘটছে।"
আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে স্বাধীনতার মধ্যরাতে রাত দখল করে এদিন পথে নেমেছিলেন মহিলারা। আরজি কর সহ সারা রাজ্যজুড়েই আন্দোলনে নেমেছে নাগরিক সমাজ। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষরাও এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ওই কর্মসূচির মধ্যেই আরজি করের সামনে একদল বহিরাগত লাঠি, রড নিয়ে হামলা করে।
যার জেরে মধ্যরাতে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় আরজি কর মেডিক্যালের সামনে। আরজি কর হাসপাতালে সামনে প্রতিবাদীদের যে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল এদিন মধ্যরাতে তাও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকী এমার্জেন্সির গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একাধিক গাড়িও। এরপরই পুুলিশ পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ শুরুতেই পদক্ষেপ নিলে এঘটনা ঘটতো না। আচমকাই লাঠি, রড, পাথর নিয়ে একদল আরজিকরের সামনে চলে আসে। এরপরই শুরু হয় মারধর, ভাঙচুর। জখম হন বেশ কয়েকজন। সেই সময় পুলিশ হাসপাতালের ভেতরে লুকিয়ে ছিল বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। যদিও পুলিশ কমিশনারের দাবি, মিডিয়ার একাংশের জন্যই এই পরিস্থিতি। যেভাবে মিডিয়ার একাংশ অপপ্রচার শুরু করেছে, তাতে কলকাতা পুলিশ চিন্তিত বলেও জানান সিপি।