শেষ আপডেট: 24th July 2024 07:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাজেট পেশের পর দেশের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেছে। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, এটি আদতে বঞ্চনার বাজেট। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, এই বাজেটের মূল লক্ষ্য ছিল বিজেপির শরিক দলগুলিকে সন্তুষ্ট করে রাখা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো আরও ক্ষোভ উগরে দিয়ে দাবি করেছেন, এটা বাংলা বিরোধী বাজেট। তবে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদ্বীপ পুরী বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
বাজেট নিয়ে বঞ্চনার যে অভিযোগ উঠছে তাকে কার্যত গুরুত্বই দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাঁদের মন্ত্রীর কথায় সেটা একেবারে স্পষ্ট। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরী বলেছেন, ''বিরোধীরা মনে হয় পুরো বাজেট ভাল করে দেখেইনি। আগে তাঁদের সেটা ভাল করে পড়া উচিত, তারপর মন্তব্য করা উচিত। এই বাজেটে প্রতিটি রাজ্য উপকৃত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দেশের সব রাজ্য সমান গুরুত্ব পেয়েছে। কেউ যদি বলে আমি খাতায়-কলমে তা প্রমাণ করে দিতে পারি।''
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর মতে, শরিক দলগুলির দাবির কাছে মাথা নিচু করে অন্য রাজ্যগুলিকে বঞ্চিত করা হয়েছে এই বাজেটে। বিরোধীদের অনেকেই দাবি করেছেন, এই বাজেট শুরু বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য করা হয়েছে। তবে সেই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন হরদ্বীপ পুরী। তাঁর সাফ কথা, ''পূর্বে বিহার একটিই রাজ্য নয়। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য আলাদা করে ভেবেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর বিহারের সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে যদি নেপালে সৃষ্টি হওয়া বন্যা পরিস্থিতির সমাধান করতে চাওয়া হয়, তাহলে ক্ষতি কী?'' প্রশ্ন তাঁর।
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বাজেটকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ''সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই বাজেটের ফলে শক্তিশালী হবেন। শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে এক নতুন মাপকাঠি এনে দেবে। দেশের যুব সমাজের কাছে নতুন নতুন রাস্তা খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে এই বাজেটে।'' মোদীর আরও দাবি, এই বাজেট ছিল মহিলা নির্ভর। নারী কল্যাণ ও সমস্ত কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ভাগীদারিত্বের কথা রয়েছে বাজেটে।