শেষ আপডেট: 9th July 2024 17:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুর সংশোধনাগারে বন্দি মৃত্যুর চারদিন পর মৃতের পরিবারের লোকজন দেহ নিতে আসল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
গত ৫ জুলাই শুক্রবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এক বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন হোমের রক্ষীরা। পরের দিনে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। তাঁদের অনুমতি ছাড়াই কী করে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবারের লোক। তাঁদের এটাও প্রশ্ন, শেখ হোসেন আলি নামে ২৫ বছরের ওই যুবককে আদালত থেকে তমলুক জেলে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে কবে তাঁকে মেদিনীপুর জেলে পাঠানো হল, তা জানানো হয়নি। এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মৃতের পরিবার। আদালতের নির্দেশেই তাঁর পরিবারের লোকজন এদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ নিতে আসে।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, শেখ হোসেন আলি তমলুকের দক্ষিণ বাগুয়ানের বাসিন্দা ছিলেন। গৃহ শিক্ষকতা করতেন। ১০ জুন ক্লাস নাইনের পড়ুয়া এক নাবালিকা ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়েটির ফোন ট্যাপ করে ২৭ জুন হিমাচলপ্রদেশ থেকে শেখ হোসেন আলিকে গ্রেফতার করে তমলুক থানার পুলিশ। পরের দিন সেখানে আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে তমলুকে নিয়ে আসা হয়।
পয়লা জুলাই শেখ হোসেন আলিকে তমলুক আদালতে তোলা হলে ১২ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিশোরীকে পাঠানো হয় হোমে। শেখ হোসেন আলির আত্মীয়রা জানান, ১ তারিখ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত তমলুক জেলে ছিলেন তিনি। ৫ তারিখ কী করে মেদিনীপুর জেল থেকে তাঁর দেহ মিলল সেটা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের সন্দেহ, পরিকল্পিতভাবে মারা হয়েছে শেখ হোসেন আলিকে। তাই পুরো বিষয়টি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। কোর্টের নির্দেশেই পরিবারের লোকজন সোমবার মৃতদেহ নিতে আসে মেদিনীপুরে ।