শেষ আপডেট: 23rd July 2024 13:08
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো, পশ্চিম মেদিনীপুর: খুনের অভিযোগে ২৩ বছর ধরে জেলে বন্দি। এখন বন্দি জীবনের বেশির ভাগটাই তাঁর কাটে মূর্তি তৈরি করে। এবার তার হাতের কাজ মেদিনীপুরের দুই কলেজের মিউজিয়ামে রাখার কথা বার্তা চলছে।
মেদিনীপুর মুক্ত সংশোধনাগারে বন্দি খুনের আসামী সুজিত দলুই। সেখানেই কয়েকজন বন্দিকে নিয়ে গড়েছে হস্তশিল্পীদের দল। কখন মনীষীদের মূর্তি অথবা এডস সচেতনতায় স্ট্যাচু গড়ে সমাজকে সচেতন করে চলেছে সুজিত। এরকমই তার হাতে গড়া ২৪ স্ট্যাচু বাছাই করে মেদিনীপুরের দুটি কলেজের মিউজিয়ামের রাখার চেষ্টা চলছে।
১৯৯৬ সালের একটি খুনের মামলায় হয় সুজিতের বিরুদ্ধে। এক ব্যক্তিকে বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। ২০০২ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে আদালত। প্রথমে সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়েছিল তাকে। তারপরে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রাখা হয়। এরপরে সাত বছর ধরে মেদিনীপুর মুক্ত সংশোধনাগার রয়েছে সুজিত।
বন্দি জীবন কাটানোর আগে সুজিত টুকিটাকি হাতের কাজ করত। কিন্তু বন্দিদশা পুরোপুরি নিজেকে ঢেলে দেন এই কাজে। কাঠের গুঁড়ি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি গড়তে থাকেন তিনি। সেই কাজই এখন প্রশংসা পাচ্ছে। এমনকি তার হাতের তৈরি কাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর কেড়েছে।
পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের বাংলার প্রাক্তন অধ্যাপক তথা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত অধ্যাপক ডক্টর বিশ্বরঞ্জন ঘোড়াই, তাঁর সহযোগিতায় মুক্ত সংশোধনাগারের এই বন্দিশিল্পীর হাতের কাজ মিউজিয়ামের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সুজিতের হাতে কাজে মুগ্ধ অধ্যাপক বিশ্বরঞ্জন বাবুর মতে, "শিল্পী মরে না, শিল্পী বেঁচে থাকে তার কাজের মাধ্যমে। সেরকম সুজিত দোলই তার হাতের কাজের মাধ্যমে আগামী দিনে মানুষের কাছে থাকবে।"