Advertisement
প্রতীকী ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 11 April 2024 13:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভা ভোটের প্রচার এখন তুঙ্গে। তাপমাত্রার পারদের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। প্রতিটি দলই নিজের নিজের প্রতিশ্রুতির ঝুলি নিয়ে হাজির জনতার দরবারে। সঙ্গে রয়েছে একে অপরকে খাটো করার বড়াই। কিন্তু, ভোটারদের মনের কথা কী? তাঁরা কী বলছেন? ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কোন ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ভোটারের মন! তার হালহকিকত জানতে জনতার দরবারে হাজির হয়েছিল সিএসডিএস-লোকনীতি নামে একটি গবেষণাধর্মী সমীক্ষাকারী সংস্থা। তাদের প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, ভোটের বাজারে বেকারির সমস্যা শীর্ষে রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ বেকারিকেই প্রধান ইস্যু হিসেবে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
এরপরেই রয়েছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ইস্যু। কিন্তু, সিবিআই, ইডি, আয়করের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান। বিরোধী দলগুলির নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে চলা তল্লাশি, গ্রেফতারি সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে মানুষ ভাবছেন না। যেমনটা লক্ষ্য করা গিয়েছে, রামমন্দিরের ইস্যুও। নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার রামমন্দিরকে নিয়ে যথেচ্ছ প্রচার চালালেও তা আমজনতার মনে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। এগুলোকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করতে নারাজ ভোটাররা।
সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, এবারের ভোটে বেকারি, আকাশছোঁয়া বাজারদাম এবং উন্নয়নের ইস্যুতেই ভোট হতে চলেছে। বিজেপির কাছে বেকারি এবং দামবৃদ্ধিই মূল শিরঃপীড়ার কারণ হবে। রিপোর্ট বলছে, উন্নয়নের কথা যাঁরা বলেছেন, তাঁরা বিজেপির পক্ষেই ভোট দেবেন।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত বিধানসভা ভোটগুলিতেও বেকারির সংকট নিয়ে মাথাব্যথা ছিল জনতার। দেশের যুব সমাজের কাছে অন্ধকার ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের রিপোর্টেও সেকথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই সমীক্ষা বলছে, প্রায় তিন-পঞ্চমাংশ ভোটার মনে করেন, পাঁচ বছর আগের তুলনায় এখন একটি চাকরি জোগাড় করা সুকঠিন হয়ে গিয়েছে। মাত্র ১২ শতাংশ মনে করেন খুব সহজেই তাঁরা চাকরি জোগাড় করতে পেরেছেন।
২০১৯ সালের পর থেকে দেশে বেকারি ও মূল্যবৃদ্ধি গলার কাঁটার মতো হয়েছে বলে মনে করেন গ্রামীণ ভোটাররা। অন্যদিকে, ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় দেশে প্রভূত উন্নয়ন ও বিকাশের কাজ হয়েছে। মাত্র ২ জন বিশ্বাস করেন, না, তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। ৩২ শতাংশ মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস উন্নয়নের কাজ যদি কিছু হয়ে থাকে, তাহলে তা ধনীদের জন্য হয়েছে।
মাত্র ৮ শতাংশ ভোটারের কাছে দুর্নীতি এবং রামমন্দির বিরাট ইস্যু বলে মনে হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৯২ শতাংশ মানুষ এটাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তবে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, মোদী সরকারের গত পাঁচ বছরে দুর্নীতির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত পাঁচ বছরে দুর্নীতি বেড়েছে বলে ৫৫ শতাংশ মানুষের মত। এদিকে, কৃষক আন্দোলন সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও প্রভাব ফেলেছে। অনেকেই মনে করেন, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া উচিত।
এই ইস্যুতে ৬৩ শতাংশ কৃষক তাঁদের দাবিকে উচিত দাবি বলে জোর দিয়েছেন। মাত্র ১১ শতাংশের ধারণা এই আন্দোলনের পিছনে চক্রান্ত রয়েছে।
Advertisement
Advertisement