শেষ আপডেট: 18th July 2024 22:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মালদহের মানিকচকের বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে এবার প্রকাশ্যে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রী এবং শাসকদলের বিধায়িকার।
মানিকচকের ধুন্ধুমার কাণ্ডে এদিন সন্ধেতেই বিবৃতি দিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দাবি করেছেন, "অন্যান্য রাজ্যে যেখানে গড়ে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়, সেখানে বাংলায় একমাত্র রাজ্য যেখানে ১ মিনিটও লোডশেডিং হয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার অভিধান থেকে লোডশেডিং নামক শব্দটি চিরতরে তুলে দিয়েছেন।"
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
মন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন মানিকচকের স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কারেন্ট থাকছে না। গ্রামবাসীদের সেই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন মানিকচকের স্থানীয় তৃণমূল বিধায়িকা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রও।
মানিকচকের স্থানীয় তৃণমূল বিধায়িকা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র।
এদিন মানিকচক কাণ্ডে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবিত্রী মিত্র বলেন, "মালদহে যে হারে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে তাতে মানুষের ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। রাতের বেলা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কারেন্ট থাকছে না, মানুষ খুবই কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। ঘন ঘন লোডশেডিং নিয়ে আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি। আগে ব্যবস্থা নিলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।""
তবে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা করে সাবিত্রীদেবী বলেন, " সমস্যা নিয়ে প্রতিবাদ হোক, কিন্তু পুলিশের গায়ে হাত দেওয়া ঠিক নয়।"
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা কারেন্ট থাকে। গড়ে প্রতিদিন রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত কারেন্ট থাকে না। দিনের বেলাতেও ১১টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা লোডশেডিং। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, প্রচণ্ড গরমে লোডশেডিংয়ের জেরে গত ১৫ দিনে ৩ জন মারাও গেছেন। জমে থাকা এসব ক্ষোভেরই বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। যদিও পুলিশের দাবি, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একদল দুষ্কৃতী পুলিশের ওপরে হামলা চালিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগে এদিন মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ওই অবরোধ ঘিরেই তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। আহত হয়েছেন মানিকচক থানার আইসি-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে দু'জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন।