শেষ আপডেট: 1st June 2024 17:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়ে পাকিস্তান সরকারের একটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শোরগোল শুরু হয়েছে সে দেশে। একটি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পাকিস্তান সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হলফনামায় বলেছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর একটি বিদেশি ভূখণ্ড। সেখানে পাকিস্তানের কোনও আইন বলবৎ নয়।
আপাত দৃষ্টিতে পাকিস্তান সরকার নতুন কিছু বলেনি মনে হলেও সরকারি হলফনামার বক্তব্য নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারত সরকারও বিশদ রিপোর্ট তলব করেছে ইসলামাবাদের ভারতীয় হাই কমিশনের কাছে। আসলে পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীরকে আজাদ বা স্বাধীন কাশ্মীর বলা হয়ে থাকে। আবার ভারতের অংশে থাকা কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও হিন্দুস্থানের অংশকে আজাদ কাশ্মীর বলে থাকে।
সরকারিভাবে যাই বলা হোক না কেন, সীমান্তের অপারের কাশ্মীরের উপর পূর্ণ দখল রয়েছে পাকিস্তান সরকারের। নয়া দিল্লির মতো ইসলামাবাদের কর্তারাও পুরো কাশ্মীরকেই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সে দেশের সেনার উপস্থিতি মোটেই গোপন নেই। পাক সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশে অধিকৃত কাশ্মীরকেই ব্যবহার করে থাকে। সেখানেই ভারত বিরোধী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি রয়েছে বলে নয়া দিল্লির অভিযোগ।
হলফনামার বিষয়টি এসেছে এক কবি ও সাংবাদিকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আহমেদ ফারহাদ শা নামে ওই কবি-সাংবাদিকের পরিবারের দায়ের করা মামলায় পাক সরকার ইসলামাবাদ হাইকোর্টকে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। সেখানে পাকিস্তান সরকারের আইন বলবৎ নয়। তাই ইসলামাবাদ হাই কোর্টের কোনও নির্দেশ সেখানকার পুলিশ মানতে বাধ্য নয়। তারা ওই সাংবাদিককে মুক্তি দিলে তবেই তিনি ইসলামাবাদে ফিরতে পারবেন।
সরকারি আইনজীবীর এই বক্তবের পর আদালতের অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তান সরকারকে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মহসিন হায়াত কিয়ানি পাল্টা জানতে চান, যদি বিদেশি ভূখণ্ডই হবে তাহলে পাকিস্তানি সেনা এবং রেঞ্জার্স বা সীমান্তরক্ষী বাহিনী কীভাবে সেখানে রয়েছে। এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান পাকিস্তানের অতিরিক্তি সলিসিটর জেনারেল। বিচারপতি পাকিস্তানের গোয়েন্দা এজেন্সিগুলির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, কেন দেশে অপহরণের ঘটনা বাড়ছে। কী করছেন গোয়েন্দারা?