শেষ আপডেট: 16th May 2024 17:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার নাম না করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে দুষলেন। বৃহস্পতিবার নাসিকে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, একজনের দুর্বলতা অথবা ভুলের মাশুল গুনছে ভারত। সেই সময় কোনও একজন পাকিস্তানের দখল করা ভারতীয় ভূখণ্ড ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে দুর্বলতা দেখিয়েছিলেন। তাঁর ভুলেই আজও কাশ্মীরের একাংশ পাকিস্তানের দখলে থেকে গিয়েছে।
যদিও অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করেন জয়শঙ্কর। নাসিকে বিশ্ববন্ধু ভারত নামে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ। কিন্তু একজনের দুর্বল মনোভাব ও ভুলের কারণে আজ তা আমাদের হাতছাড়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যের সুর টেনে তিনিও বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর শীঘ্রই ভারতের হাতে ফিরে আসবে। জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন দেখে সেখানকার মানুষও আজ রাস্তায় নেমেছেন উন্নয়নের দাবিতে। পাকিস্তান সরকারের উপর চরম ক্ষুব্ধ অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। তার একমাত্র কারণ ভারতীয় অংশে কাশ্মীরের ব্যাপক উন্নয়ন।
তিনি বলেন, অধিকারের দাবিতে সেখানকার জনতা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। ফলে সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যখন পাকিস্তান সরকারের অধীনে আর থাকতে চাইবেন না তাঁরা। ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির দাবি ক্রমেই জোরাল হচ্ছে।
বিদেশমন্ত্রীর দাবি, নিয়ন্ত্রণরেখার এপারের পরিবর্তন তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন। তাই আজ তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, আমরা কেন পাক সরকারের হেনস্তার শিকার হয়ে থাকব। আমরা কেন দুর্ভোগ ভোগ করে যাব। কোনও সন্দেহ নেই যে, পাকিস্তান তাঁদের জন্য কিছুই করেনি। এই অবস্থায় এখন আমরা নজর রাখছি, কবে সেটা সত্যে পরিণত হবে!
অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফফরাবাদে অরাজকতার শাসন চলছে। হিংসাত্মক প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষ বিরক্ত। জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ মাশুল নিয়ে তাঁদের ক্ষোভের অন্ত নেই। তাই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। পুলিশ, বন্দুক দিয়ে সেই আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান সরকার। ফলে অধিকৃত কাশ্মীর যেমন ভারতেরই ছিল, তেমনই একদিন ওরাও নিজেরাই একদিন ভারতে চলে আসবে বলে বিশ্বাস জয়শঙ্করের।