শেষ আপডেট: 21st April 2024 23:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত। প্রেসিডেন্টের পদে বসার পরই মহম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন। এমনকী প্রকাশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু-সহ মলদ্বীপ সরকারের তিন মন্ত্রী। সেই মুইজ্জুর দিকেই গেল দ্বীপ-দেশের জনগণের রায়। পার্লামেন্ট নির্বাচনে দারুণ ফল করেছে মুইজ্জুর দল।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের মধ্যে কড়া টক্কর হবে বলে অনুমান করা হচ্ছিল। কিন্তু ফলাফল তেমন ইঙ্গিত দিচ্ছে না। রবিবারের মলদ্বীপের ৯৩ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ভারতীয় সময় রাত ১১টা পর্যন্ত ভোট গণনার ফলাফল থেকে জানা গেছে, প্রথম ৮৬ আসনের মধ্যে ৬৬ আসনেই জয় পেয়েছে মুইজ্জুর দল। যা ম্যাজিক ফিগারের থেকে অনেকটাই বেশি। ভারতের প্রতি যে দলের বন্ধত্বপূর্ণ মনোভাব রয়েছে সেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অনেকটাই পিছিয়ে ভোটে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন মুইজ্জু। কিন্তু পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখে সোলির দল মলডিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বা এমডিপি। আর এই নির্বাচন প্রেসিডেন্ট কে হবেন সেটা নির্ধারিত করার জন্য নয়। মুইজ্জুর হাতে ক্ষমতা থাকবে কিনা সেটা নির্ধারণ করার ভোট। সেক্ষেত্রে মুইজ্জু যে দারুণ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন তা বলা যায়।
বিরোধীদের বক্তব্য, মুইজ্জির চীন ঘনিষ্ঠতার জেরে ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সুস্থ সম্পর্ক তলানীতে এসে ঠেকেছে। পাশাপাশি আর্থিক তছরুপ, বেআইনি লেনদেনের একাধিক প্রমাণ মিলেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সবদিক থেকে তিনি ক্ষমতায় থাকলে মলদ্বীপের ভাল হবে না। কিন্তু মলদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে সম্পূর্ণ অন্য বার্তাই দিল।