শেষ আপডেট: 6th September 2024 21:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নারী নির্যাতন রোধে গত মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছিল অপরাজিত বিল। অভিযোগ, রাজ্যপাল বিলটি অনুমোদনে দেরি করছেন। পাল্টা হিসেবে রাজভবনের তরফে রাজ্যের বিরুদ্ধে বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্ট জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ রাজ্যপালের কাছে সেই রিপোর্ট দিয়ে আসার পরে অপরাজিতা বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
শুক্রবার সন্ধেয় রাজ্যপাল নিজেই সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করে এ খবর জানানোর পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, তাড়াহুড়ো করে বানাতে গিয়ে বিলের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ত্রুটি। যা তিনি চিহ্নিত করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
একই সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে বিল বানানোর জন্য রাজ্যের সমালোচনা করে বোস লিখেছেন, হাঁটু ঝাঁকুনি কাজ না করে ভাল করে হোমওয়ার্ক করুন।
West Bengal Governor refers Aparajita Bill for consideration of the President of India
— Raj Bhavan Media Cell (@BengalGovernor) September 6, 2024
On receipt of mandatory technical report from the Govt. of West Bengal, Governor has referred the Aparajita Bill for consideration of President of India
But the Raj Bhavan expressed its…
এদিন সোশ্যাল মাধ্যমে এ সংক্রান্ত দীর্ঘ বিবৃতিতে বিলের সঙ্গে টেকনিক্যাল রিপোর্ট না পাঠানোর জন্য রাজ্য বিধানসভার সচিবালয়ের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন বোস। এমনকী বিল পাশ করানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন তিনি।
এর আগে অপরাজিতা বিল নিয়ে সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল এই অভিযোগও এনেছিলেন যে অন্ধপ্রদেশ,মহারাষ্ট্র এবং অরুণাচলের মতো কয়েকটি রাজ্যের বিলের থেকে টুকে বাংলার অপরাজিতা বিল তৈরি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে আরজি করের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যপাল লিখেছেন, "প্রিয় কন্যাকে হারানো শোকাহত মায়ের চোখের জল মুছে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। তাই বিলটি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করানো চলবে না। বিদ্যমান আইনের কাঠামোর মধ্যেই দ্রুত তাদের ন্যায়বিচার দিতে হবে।"
রাজ্যের সরকারকে যথাযথভাবে কাজ করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। লিখেছেন, এভাবে তাড়াহুড়ো করে হাঁটু ঝাঁকানো কাজ না করে সরকারের উচিত ছিল বিষয়টি নিয়ে আরও ভালভাবে হোমওয়ার্ক করা।
বিরোধীদের অভিযোগ, আরজি করের মূল ঘটনার দিক থেকে নজর ঘোরাতে তাড়াহুড়ো করে এই বিল এনেছে রাজ্য। পর্যবেক্ষকদের মতে, আকার ইঙ্গিতে রাজ্যপালও সেই বার্তায় স্পষ্ট করতে চেয়েছেন।