শেষ আপডেট: 3rd July 2024 12:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভার পরদিন, বুধবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের একবার কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোটের পরাজয় নিয়ে আক্রমণ করেন। এদিন রাজ্যসভার কাজ শুরুর মুখেই সংসদের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় হাথরাসের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন। এদিনও ফের মোদী সংবিধান নিয়ে পরোক্ষে ঠেস দেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে।
রাজ্যসভাতেও মোদী তৃতীয়বার জয়ের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, রাজ্যসভাতেও এদিন ভাষণের সময় প্রবল বিরোধের মুখে পড়েন তিনি। বিরোধী বেঞ্চ থেকে সদস্যরা চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। শুরুতেই মোদী গত ১০ বছরে এনডিএ সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন। রাজ্যসভায় উপস্থিত বিরোধী নেতাদের বিদ্বান বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ওরা রিমোট কন্ট্রোলের সরকার চালাতে অভ্যস্ত। কাজ নয়, অপেক্ষায় বিশ্বাস করে। কিন্তু, আমাদের সরকার কাজে বিশ্বাস করে। পরোক্ষে তিনি কংগ্রেসের পরিবারবাদী রাজনীতিকে ব্যঙ্গ করেন।
মোদী বলেন, কিছু মানুষ আছেন যাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের সাফল্য চোখে দেখতে পান না। কিছু মানুষ এটা বুঝতে অস্বীকার করেন। শুরু থেকেই বিরোধী সাংসদরা মোদীর ভাষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে থাকেন। বিরোধী নেতাকে বলতে দাও বলে স্লোগান তোলেন তাঁরা।
মোদীর দাবি, এই তৃতীয় এনডিএ সরকার ভারতকে বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পৌঁছে দেবে। বিরোধীদের নিশানা করে তিনি বলেন, যারা আজ সংবিধানের বই তুলে বিরোধ করছে, তারাই সংবিধান দিবস পালনের বিরোধিতা করেছিল। এদিন বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি নাকচ করে দেন চেয়ারম্যান ধনখড়। তখন বিরোধীরা এলওপি, এলওপি বলে তালি বাজিয়ে মোদীর ভাষণে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করতে থাকে।
বিরোধীদের দাবি রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বিতর্কে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে বলতে দিতে হবে। মোদী বলেন, মিথ্যাচারীরা যে সত্য শুনতে পায় না তা আজ দেশ দেখতে পাচ্ছে। সত্যের মোকাবিলা করার যে শক্তি থাকে তা ওদের নেই। চেয়ারম্যান বিরোধীদের দাবিকে নাকচ করে দেওয়ায় ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এদের কাজ হচ্ছে হইহট্টগোল করা আর সত্য শোনার বদলে সদন ছেড়ে চলে যাওয়া।
বিরোধীদের ওয়াকআউটের পর ধনখড় বলেন, আমি এই আচরণের নিন্দা করছি। এঁরা কেবল আমাকে পিঠ দেখিয়ে চলে যাননি। সংসদের উচ্চকক্ষকে অপমান করেছেন। ভারতীয় সংবিধানের অপমান করেছেন, সংবিধানকে নিয়ে মজা করেছেন। ধনখড় আরও বলেন, সংবিধান হাতে নিলেই তাকে সম্মান দেখানো হয় না। তাকে পালন করতে হয়।
ধনখড়ের প্রতিবাদের পর মোদী ফের বলতে উঠে বলেন, কাল ওরা হেরে গিয়েছে। তাই আজ ফের ওরা একই কাজ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তাই ওরা ময়দান ছেড়ে পলায়নমুখী হয়েছে।