শেষ আপডেট: 19th July 2024 19:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: সোমের পর শুক্রবারে ফের মাওবাদী বন্দি অর্ণব দামকে নিয়ে আসা হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে। শুক্রবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ বর্ধমান জেলা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের ইতিহাস বিভাগে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সেখানে তাঁর ভেরিফিকেশন হয়।
ইতিহাস বিভাগের প্রধান সৈয়দ তানভির নাসরিন বলেন, "আজ ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হল। আগামী সপ্তাহ থেকেই ক্লাস শুরু হবে। সপ্তাহে দু'দিন ক্লাস হবে। সামাজিক ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করবেন অর্ণব। তবে এখনও তাঁর গাইড ঠিক হয়নি।এখন কোর্স ওয়ার্কের পর্ব চলছে। কোর্স ওয়ার্কের প্রক্রিয়া মিটলে বোর্ড অব রিসার্চ স্ট্যাডিজের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গাইড ঠিক করা হবে। এখন যেহেতু তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড স্টুডেন্ট, তাই লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে তাঁর কোনও সমস্যা হবে না।"
গত ২৬ জুন পুলিশের পাহারায় ইন্টারভিউয়ের জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল অর্ণব দামকে। ৫ জুলাই মেধা তালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়। আর এই তালিকা দেখেই অনেকের চোখ কপালে ওঠে। ইতিহাস বিভাগের মেধা তালিকায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭৬.৮৬৭০ নম্বর পেয়ে প্রথম হন অর্ণব। ইতিহাসে পিএইচডি করার ইন্টারভিউয়ে ২৪৯ জনকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান লাভ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন জেল বন্দি অর্ণব ওরফে বিক্রম। আর এই পরেই ঘটে বিপত্তি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মেধা তালিকায় থাকা পরীক্ষার্থীদের জন্য ৯ জুলাই কাউন্সেলিংয়ের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ৮ জুলাই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় অনিবার্য কারণে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়।
এরপরই আসরে নামেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ডাঃ গৌতম চন্দ্রের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি। তারপরই মাওবাদী অর্ণব দামের ভর্তি নিয়ে জট কাটে। দীর্ঘ টালবাহানার পর গত সোমবার তাঁর কাউন্সেলিং হয়। শুক্রবার হল ভেরিফিকেশন পর্ব। এখন থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র হিসেবে পরিচিত হলেন তিনি।