শেষ আপডেট: 23 September 2023 05:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক দেশ-এক ভোট (One nation one election) চালু করার বিষয়ে দিশা দিতে তৈরি রামনাথ কোবিন্দ কমিটির প্রথম বৈঠক (Kovind Committee meeting) শনিবার বসতে চলেছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের দিল্লির বাড়িতে এই বৈঠক হওয়ার কথা। পঞ্চায়েত-পুরসভা-লোকসভা-বিধানসভার ভোট পাঁচ বছরে একবার এক সঙ্গে করার পক্ষপাতী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এই ব্যাপারে সাংবিধানিক ও আইনি পরিবর্তন এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে দিশা দিতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে চেয়ারম্যান করে কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। কমিটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা সাবেক কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ প্রমুখ আছেন (Kovind Committee meeting )।
কমিটিতে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকে রেখেছিল কেন্দ্র। কিন্তু কংগ্রেস কমিটিকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস-সহ প্রায় সব বিরোধী দলই এক দেশ-এক ভোট ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। বিরোধী দলগুলি মনে করে, এই ফলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
সংসদের সদ্য সমাপ্ত বিশেষ অধিবেশনে মহিলা বিল পাশ করানো বলেও তা কবে কার্যকর হবে তা স্পষ্ট করানো হয়নি। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে জনগণনা এবং লোকসভা ও বিধানসভার এলাকা পুনর্বিন্যাসের পর এক তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। যদিও জনগণনা এবং আসন পুনর্বিন্যাসের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। অদূর ভবিষ্যতেও তা হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বিরোধী নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, এক দেশ-এক ভোট সংক্রান্ত বিলটিও মোদী সরকার লোকসভা ভোটের আগে পাশ করিয়ে রাখতে পারে। ভোটের প্রচারে বাজিমাৎ করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, এক দেশ-এক ভোট চালু হলে খরচ কমবে, গতি আসবে সরকারি কাজে। বছর বছর ভোটের জন্য সরকারি কাজ বন্ধ রাখতে হবে না। সব মিলিয়ে সুশাসনের বার্তা দেওয়াই মোদী সরকারের লক্ষ্য। লোকসভা ভোটে এই দিকটি তুলে ধরতে চাইবে পদ্ম শিবির। কারণ, ভোটারদের অনেকেই ভোট, রাজনীতির কচকচানি নিয়ে বিরক্ত।
আরও পড়ুন: ধূপগুড়ির বিধায়ককে রাজভবনে শপথ করাতে চান বোস, নয়া সংঘাতে রাজ্য-রাজ্যপাল