শেষ আপডেট: 22nd May 2024 20:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায়ের বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু কেন হাইকোর্ট এমন রায় দিল তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, মুসলিমদের ওবিসি তালিকাভুক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২০১২ সালের ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা বেআইনি। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ১৯৯৩ সালের ওবিসি সংরক্ষণ আইন অনুসারে রাজ্যকে নতুন করে তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই নতুন তালিকা তৈরি করবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন। উচ্চ আদালতের এই রায় ঘোষণার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''এই রায় মানি না। ওবিসি সংরক্ষণ চলছে, চলবে।'' আদালতের নির্দেশে কঠোর সমালোচনা করে তিনি এও বলেন, গায়ের জোরে কেউ যদি মনে করেন, রাজ্য সরকারের অধিকার কেড়ে নেবেন, তা হবে না।
বিজেপি বারংবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে। এমনকী এও দাবি করেছে, জনজাতি, তফসিলিদের সংরক্ষণ সংখ্যালঘুদের দিয়ে দিতে চাইছে তারা। এই প্রেক্ষিতেই হাইকোর্টের ওবিসি রায় নিয়ে অমিত শাহর বক্তব্য, ''বাংলায় কোনও সমীক্ষা না করেই মুসলিমদের ওবিসি তালিকাভুক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এই কারণেই এমন রায় দিয়েছে আদালত। রায় যাতে কার্যকর হয়, তা আমরা সুনিশ্চিত করব।'' তৃণমূলকে বিঁধে তিনি এও বলেন, যারা ওবিসি নয়, তাঁদের এই তালিকায় ঢুকিয়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলার শাসক দলের এই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি সহ্য করা হবে না।
এই রায় নিয়ে আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ টেনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে তৃণমূল। শাসক দলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “যে বিচারপতি শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিতেন, তিনিই এই রায় দিয়েছেন।” তাঁর কথায়, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে বলেছিলেন এই বিচারপতি। যা এর আগে কখনও হয়নি।