শেষ আপডেট: 24th March 2024 17:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিউটাউনে ট্রলি ব্যাগে মৃতদেহ রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থেকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। আটক করা হয়েছে আরও দু'জনকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাতে পটাশপুরে নাকা তল্লাশির সময়ে একটি অ্যাপ ক্যাবে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ দানা বাঁধে। ভোররাতে বালিচক-পটাশপুর রাজ্য সড়কের কেলেঘাই ব্রিজ এলাকায় ওই গাড়ি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদেই জানা যায়, নিউটাউনে ট্রলিব্যাগ ফেলে পালাচ্ছিলেন অভিযুক্ত ৩ জন। তারপরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার দুপুর ১২ টার ৩০ নাগাদ ধৃতকে বারাসাত জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয়।
ধৃতের নাম সৌম্যকান্তি জানা। পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যাঙ্কে যাতায়াতের সূত্রেই সুবোধ সরকারের সঙ্গে অভিযুক্তের পরিচয় হয়েছিল। সুবোধবাবুর কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা ধারও নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা ফেরত চাইতেই এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ। খুনের পিছনে কারা-কারা জড়িত আছে তা খতিয়ে দেখছে টেকনো সিটি থানার পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, তিন মাস ধরে বেলঘড়িয়ার নন্দন নগরে ভাড়া ছিলেন সুবোধ সরকার। ওড়িশায় তাঁর প্রিন্টিং প্রেসেপ্রেসের ব্যবসা ছিল। বাড়ি বিক্রির মোটা টাকা বেসরকারি ব্যাঙ্কে জমা রেখেছিলেন। সেই সুবাদে ওই ব্যাঙ্কেরই কর্মী সৌম্যকান্তি জানার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর।। ছোট এক নাতনির বয়সি মেয়ের সঙ্গেই থাকতেন সুবোধ। পুলিশ সূত্রে খবর, যে এলাকায় দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে আলো বা সিসিক্যামেরা নেই। তবে অন্য সিসি ক্যামেরায় ২টি সন্দেহজনক গাড়ি দেখা গিয়েছে।
শনিবার সকালে নিউ টাউন কারিগরি ভবনের পিছনে খাল থেকে লাল ট্রলি ব্যাগবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এর পরেই তদন্তে নামে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, ব্যাঙ্কে যাতায়াতের সূত্রেই নিহত মৃত সুবোধ সরকারের সঙ্গে ওই ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিচয় হয়। টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।