শেষ আপডেট: 17th January 2024 13:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতায় শীতকাল মানেই এসপ্ল্যানেডে ভিড়। শনিবার-রবিবার তো বটেই, এমনকী ডালহৌসি চত্বরে কর্মস্থল হলে নিউ মার্কেট ঢুঁ মারতে পছন্দ করেন অনেকেই। বড়দিন কিংবা নিউ ইয়ারের সময়ে নিউ মার্কেটের ভিতর যখন কেকের গন্ধে ম ম করে, তখন কিন্তু বাইরের হকার কিংবা অন্যান্য দোকানগুলিও জমজমাট থাকে। কেনাকাটা হোক বা না হোক নিউ মার্কেট চত্বরে উইনডো শপিং করতে আকছার যান কলকাতাবাসী। বুধবার সেই এসপ্ল্যানেড চত্বরের দৃশ্য একেবারে আলাদা। আচমকা শুনশান সেই নিউ মার্কেট এলাকা। শাটার নামানো অর্ধেক দোকানের। খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে বহু ক্রেতাকে।
হকার নিয়ন্ত্রণের দাবিতে নিউমার্কেট চত্বরে সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিউ মার্কেট থানার এলাকায় ব্যবসা বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠন। হকার দৌরাত্ম্য সহ একাধিক ইস্যুতে চলছে প্রতিবাদ।
বুধবার নিউ মার্কেট থানা এলাকার সমস্ত ছোট-বড় স্থায়ী দোকান, শপিং মল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ মিছিল করছেন স্থায়ী দোকান মালিকরা। বিভিন্ন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জয়েন্ট ট্রেডার্স ফেডারেশন।
জানা গিয়েছে, হগ মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন সহ নিউ মার্কেট চত্বরের দশটি ব্যবসায়ী সংগঠনের ডাকে এই বনধ আয়োজিত হয়। তাঁদের দাবি, রাস্তা এবং ফুটপাত সহ হেরিটেজ হক মার্কেটের আশেপাশে হকার সমস্যা দীর্ঘদিনের। একাধিকবার এই নিয়ে পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। আর তারই প্রতিবাদে এদিন দোকানপাট বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছে ট্রেডার্স ফেডারেশন।
প্রসঙ্গত, ফুটপাতে নির্দিষ্ট সীমার ভিতরেই হকারদের বসতে হবে। যাঁদের নাম সমীক্ষার তালিকায় নেই, সেই হকারদের লাইনের মধ্যে ‘অ্যাডজাস্ট’ করা গেলে তাঁরা বসবেন না হলে আপাতত তাঁদের উঠে যেতে হবে। পরে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে। গত কয়েকদিন এই মর্মে প্রচার চলছিল নিউ মার্কেট অঞ্চলে। মঙ্গলবার দুপুরে মাইকিং চলাকালীন টাউন ভেন্ডিং কমিটি (টিভিসি) এবং পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় হকারদের একাংশ।
বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিন হকারদের প্রতিনিধিদল কলকাতা পুরসভায় এসে হকার পুনর্বাসন সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের সঙ্গে দেখা করে।