Date : 24th May, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
ইউনুস সরবেন, নাকি ওয়াকারের অপমান হজম করে থেকে যাবেন, স্পষ্ট হবে শনিবারমক্কেলকে 'কুপরামর্শ'! এজলাস থেকেই আইনজীবীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ বিচারপতিরদিল্লি, কেরলে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা, সতর্কতা জারি করল স্বাস্থ্য দফতরঅগ্নিবীরকে বাঁচাতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ, সিকিমে মৃত্যু ৬ মাস আগে সেনায় যোগ দেওয়া অফিসারেরHarvard University: বিদেশি পড়ুয়া ভর্তিতে বাধা নয়! ট্রাম্প সরকারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ 'সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রিক হয়ে গেছে,' অবসরের দিন মন্তব্য বিচারপতি এএস ওকার মমতার পাল্টা শুভেন্দু! মুর্শিদাবাদ নিয়ে বিশেষ অধিবেশনের দাবি বিরোধী দলনেতারলোকের ভাব-ভঙ্গি দেখে বুঝতাম আমার পত্রিকা কেউ কিনবে নাকলকাতাকে জঞ্জাল মুক্ত করতে পুরসভার বড় উদ্যোগ! চালু হচ্ছে বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরপূর্ণমের ঘরে ফেরা কেক কেটে উদযাপন করবে পরিবার
ED - 100 days work scheme money

‘একশ দিনে’ চোর ধরতে ইডির তল্লাশি, টাকা দেওয়ার আগে চোদ্দ গণ্ডা ছাঁকনি নবান্নর, চাপে বিডিওরা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ওই বকেয়া টাকা পাঠাবে রাজ্য সরকার। 

‘একশ দিনে’ চোর ধরতে ইডির তল্লাশি, টাকা দেওয়ার আগে চোদ্দ গণ্ডা ছাঁকনি নবান্নর, চাপে বিডিওরা

শেষ আপডেট: 6 February 2024 13:26

দ্য ওয়াল ব্যুরো: একশ দিনের কাজ প্রকল্পে অনিয়ম ও চুরির অভিযোগে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ওই প্রকল্প খাতে বাংলার কমবেশি ২১ লক্ষ শ্রমিকের মজুরি বাবদ ২৮০০ কোটি টাকা এখনও আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সেই টাকা এবার রাজ্য সরকার দিয়ে দেবে বলে যেই ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার, ঘটনাচক্রে তার পরই শুরু হয়েছে এই তল্লাশি অভিযান। এহেন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বকেয়া টাকা মেটানোর ব্যাপারে খুব সতর্ক হয়ে গেল নবান্ন। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ওই বকেয়া টাকা পাঠাবে রাজ্য সরকার। 

সূত্রের খবর, ওই টাকা পাঠানোর ব্যাপারে এসওপি, তথা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরি করেছে পঞ্চায়েত দফতর। সব জেলা শাসক, বিডিও ও গ্রাম পঞ্চায়েতকে ওই এসওপি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি মেটানোর ক্ষেত্রে ষোল আনা স্বচ্ছতা রাখতে হবে। ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারদের প্রথমে খতিয়ে দেখতে হবে, প্রকৃতপক্ষে কাদের টাকা বকেয়া রয়েছে। যাদের টাকা বকেয়া রয়েছে, তাদের জব কার্ড রয়েছে, নাকি বাতিল হয়ে গেছে। প্রত্যেকটি শ্রমিকের নামের পাশে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর রয়েছে কিনা দেখতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট অ্যাকটিভ না ডরমেন্ট তাও খতিয়ে দেখতে হবে। কোনও শ্রমিক ইতিমধ্যে মারা গেলে তাঁর নামের পাশে নোট রাখতে হবে। 

বিডিও যে লিস্ট তৈরি করবেন, সেই তালিকা এর পর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে পাঠাতে হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই তালিকা ভেরিফাই করবেন। কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বদল হয়ে থাকলে তাও লিপিবদ্ধ করতে হবে। এভাবে ১৮ তারিখের মধ্যে ওয়েজ পেমেন্ট লিস্ট চূড়ান্ত করতে হবে। ১৯ তারিখের মধ্যে ব্যাঙ্ক ওয়াড়ি পেমেন্ট অ্যাডভাইজ তৈরি করে ফেলতে হবে বিডিওদের। তার পর ২১ তারিখ টাকা রিলিজ করা হবে। 

অনেকের মতে, সন্দেহ নেই এ ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েত বিশেষ করে বিডিওদের উপর বড় চাপ তৈরি হল। কারণ, তালিকায় সামান্যতম ভুল ভ্রান্তি হলে তারাই দায়ী থাকবেন। 

তবে নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, গ্রাম-পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসের স্তরে কোনও ভুলভ্রান্তি হচ্ছে কিনা তার উপর নজর রাখার দায়িত্ব থাকবে মহকুমা শাসক, অতিরিক্ত জেলা শাসক ও জেলা শাসকদের উপর। তাঁর যে কোনও মুহূর্তে স্যাম্পেল ভেরিফাই করতে পারেন। 

সব মিলিয়ে কমবেশি ২১ লক্ষ শ্রমিককে বকেয়া মেটাতে এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়েছে নবান্নে। জেলা শাসকদের নিয়ে ইতিমধ্যে একবার ওরিয়েন্টেশন মিটিং করেছেন পঞ্চায়েত সচিব। বুধবার জেলা শাসকরা সমস্ত বিডিও ও গ্রাম পঞ্চায়েত ও অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে ওরিয়েন্টশন মিটিং করবেন। ৮ তারিখ থেকে খসড়া মজুরি তালিকা তৈরি করে ফেলতে হবে বিডিওদের।


ভিডিও স্টোরি