শেষ আপডেট: 27th July 2024 12:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে এলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরে বেরিয়ে এসে তৃণমূল নেত্রী সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ করে বলেন, অসম, ছত্তিসগড়, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীদের দীর্ঘ সময় বলতে দেওয়া হলেও আমি যেই বলতে শুরু করেছিলাম, ওরা আমার বলা বন্ধ করে দিল। রাজ্যের স্বার্থে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু বৈষম্যমূলক আচরণ করে আমার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এই সরকারের কাছে আমি ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ সহ বিভিন্ন বঞ্চনার কথা তুলে ধরছিলাম। তখনই আমার কথা বন্ধ করা দেওয়া হল। আমাকে এভাবে অপমান করার প্রতিবাদে বৈঠক বয়কট করে আমি বেরিয়ে এসেছি। শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে ইন্ডিয়া জোট শরিক দলগুলি গরহাজির থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দাবিদাওয়া তুলে ধরতে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানেও তাঁকে বলতে না দেওয়ায় ওয়াকআউট করেন তিনি। সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় বাজেট ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিকভাবে একপেশে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে এসে মমতা বলেন, তাঁকে কথা বলার সুযোগই দেওয়া হয়নি। তিনি বলতে শুরু করা মাত্রই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই আমি বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে এসেছি।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে ২০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে। অসম, গোয়া, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের ১০-১২ মিনিট করে সময় দেওয়া হয়েছে। আর আমার বেলায় পাঁচ মিনিটের মধ্যে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। মমতার দাবি, আমি বললাম, আপনারা আমার কথা বলা বন্ধ করলেন কেন? কেন ভিন্ন চোখে দেখা হচ্ছে!
তিনি আরও বলেন, আমি এই বৈঠকে এসেছি, তাতে আপনাদের খুশি হওয়ার কথা। তার বদলে আপনারা আপনাদের দলকে অতিরিক্ত সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। এটা শুধু বাংলাকে অপমান করাই নয়, সমস্ত আঞ্চলিক দলের পক্ষে অপমান। এটা ঠিক নয়।
মমতা সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধীদের পক্ষ থেকে আমি এখানে এসেছি। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সহযোগিতামূলক বৃহত্তর স্বার্থকে শক্তিশালী করতেই আমি এসেছিলাম। কিন্তু, ওরা বাজেটেও রাজনৈতিক পক্ষপাত করে গিয়েছে। আমার প্রশ্ন, আপনারা কেন বিরোধীদের রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন?
তৃণমূল নেত্রী বলেন, নীতি আয়োগের কোনও আর্থিক ক্ষমতা নেই। ফলে এটা কাজ করবে কী করে? হয় নীতি আয়োগকে আর্থিক ক্ষমতা দিন অথবা পরিকল্পনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনুন, দাবি তোলেন মমতা।