শেষ আপডেট: 27th July 2024 16:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ খণ্ডনে সদলবলে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি। এমনকী নজিরবিহীনভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছে সরকারি সংস্থা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবি। কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে এই সংস্থা। তাদের কাজ হল ভারত সরকারের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানানো। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কথাও তারা প্রচার করে থাকে। কিন্তু ওই সংস্থা সরাসরি কোনও রাজনৈতিক বিতর্কে জড়ায় না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই বিবৃতি দিয়েছে।
নীতি আয়োগের বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ শুনে বিস্মিত হয়েছি। বরাদ্দ সময় পর্যন্ত তিনি বলেছেন। প্রত্যেক বক্তার টেবিলের সামনে রাখা ছোট পর্দায় বরাদ্দ সময় উল্লেখ করা ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন তাঁর জন্য কত সময় বরাদ্দ আছে।
নির্মলা আরও দাবি করেন, রাজ্যের নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাঞ্চের পর বলার কথা। কিন্তু তাঁকে প্রথম ধাপেই বলতে দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন সপ্তম বক্তা।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিল্লিতে আয়োজিত নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে মাঝপথে বেরিয়ে আসেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, ভাষণের মাঝপথে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের অনেক বেশি সময় বলতে দেওয়া হয়েছে।
মমতার অভিযোগ নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সদস্য শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সবটাই নাটক। তবে নাট্যরূপ বড্ড কাঁচা। সিপিএমের রাজ্যসভার সদস্য বিকাশ ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুলেছেন, ইন্ডিয়া জোটের বাকি মুখ্যমন্ত্রীরা যখন বৈঠক বয়কট করেন তখন কোন আক্কেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিয়েছিলেন।
তবে পিআইবির ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাই ইউনিটকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ খণ্ডন গোটা বিতর্ককে নয়া মাত্রা দিয়েছে।
এর আগে অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে সংসদে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য খণ্ডন করতে সেনা বাহিনীর এক পদস্থ কর্তা বিবৃতি দেন। ওই ঘটনাও ছিল নজিরবিহীন। এতদিন সেনা কর্তারা রাজনৈতিক বিতর্কে নিজেদের জড়াতেন না।
রাহুল গান্ধীর নিউ দিল্লি স্টেশনে মোটরম্যানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়েও আসরে নামে রেল। উত্তর রেল দাবি করে রাহুল যাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা বহিরাগত। উত্তর রেলের জনসংযোগ আধিকারিকও রাহুল গান্ধীর বক্তব্য খণ্ডন করে বিবৃতি দেন। এতদিন রাজনীতিকদের বক্তব্য নিয়ে মন্ত্রীরাই শুধু প্রতিক্রিয়া দিতেন। আমলা, আধিকারিকেরা বিবাদে জড়াতেন না।