শেষ আপডেট: 29th July 2024 12:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য পেশের সময় মাইক বন্ধ করার বিষয়টি সোমবার উঠল রাজ্য বিধানসভায়। এদিন সকালে রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা একটি বিশেষ প্রস্তাব আনেন। সেখানে তিনি মাইক বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি জানালে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে অনুমোদন দেন।
বিশেষ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নীতি আয়োগের বৈঠকে যা হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা। যার ফলে তাঁকে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। আলোচনার দাবি জানিয়ে আরও বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন কেবলমাত্র রাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে। যেখানে তিনি পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য বিরোধী দল শাসিত রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরছিলেন। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে এইসব রাজ্যকে বরাদ্দ না দেওয়ার কথাও বলার জন্য তিনি ওই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন।
মানস ভুঁইঞার আরও অভিযোগ, ওই বৈঠকে অন্যান্য ছোট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ১৪-২০ মিনিট পর্যন্ত বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় বলতে দেওয়া হয়নি। তাঁর বলার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে তা আটকে দেওয়া হয়। এমনকী তাঁর কথা যাতে না শোনা যায়, তার জন্য মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল, বিরোধী স্বর রুদ্ধ করে দেওয়া। এ কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে যথেষ্ট অপমান ও হেনস্তা করা হয়েছে বলে মানসের দাবি।
অতএব, এই সভা কেন্দ্রীয় এই আচরণে গভীরভাবে পীড়িত ও আহত বোধ করছে। এই সভার নেত্রীর বিরুদ্ধে যা করা হয়েছে তা প্রতিবাদে বেদনা প্রকাশ করছে এই সভা। যদিও বিজেপির তরফে মানস ভুঁইঞার এই দাবিকে নস্যাৎ করা হয়েছে। দলের মুখ্য সচেতক ওয়াকআউট করে বেরিয়ে এসে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যা করছে তা সত্যের অপলাপ। এরকম কিছু ঘটেনি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।