শেষ আপডেট: 1st August 2024 18:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মনু ভাকেরের সাফল্যের নেপথ্যে এক বিদেশিনী। যতই মনুর ব্যক্তিগত কোচ যশপাল রাণা থাকুন না কেন, জাতীয় দলে এক বিদেশিনী তাঁকে পাল্টে দিয়েছেন। সেই কোচই ভারতের তরুণী শুটারকে শিখিয়েছেন কী করে বড় মঞ্চে সাফল্য পেতে হয়। শিখিয়েছেন কীভাবে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে কার্যসিদ্ধি করা যায়।
মনুর সেই কোচের নাম মুঙ্খবায়ার ডোর্জসুরেন। প্যারিসেও দেখা গিয়েছে, মনুর যে কোনও ইভেন্টের সময় পিছনে দেখা যাচ্ছে ওই বিদেশিনীকে, যিনি নিজেও অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন। তাঁর বাবা জার্মান ও মা মঙ্গোলিয়ান। সারাক্ষণ বড় দিদির মতো মনুর পাশে থাকছেন, তাঁকে চিৎকার উৎসাহ দিচ্ছেন।
সবথেকে বড় কথা, ডোর্জসুরেন একটা সময় রানি সারবাতেরও কোচ ছিলেন। তাঁর কোচিংয়ে রানি এশিয়ান গেমস শুটিংয়ে সোনা জিতেছিলেন। এমনকী ২০২২ সালে শুটিং বিশ্বকাপেও তিনি কোচ ছিলেন। ওই কোচের একটাই মন্ত্র, প্রতিপক্ষ নয়, নিজেকে নিয়ে ভাবো। কারণ বিপক্ষ নিয়ে ভাবতে গেলে নিজের মনোসংযোগ ব্যাহত হতে পারে।
মঙ্গোলিয়ার হয়ে ডোর্জসুরেন ১৯৯২, ১৯৯৬ ও ২০০০ সালের অলিম্পিক্স গেমসে তিনি অংশ নেন। ১৯৯২ গেমসে তিনি বার্সেলোনাতে ২৫ মিটার এয়ার পিস্তলে ব্রোঞ্জ পান ১৯৯৮ সালে মঙ্গোলিয়ার হয়ে শুটিং বিশ্বকাপে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে সোনা জেতেন তিনি। এরপর জার্মানির নাগরিকত্ব নেওয়ার পরেও সাফল্য পেয়েছিলেন।
তিনি একজন কিংবদন্তি শুটার, যিনি নিজের অভিজ্ঞতায় মনুদের আরও শক্তিবৃদ্ধি করেছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন নেপথ্য রানিও। দিনের পর দিন যিনি জার্মানিতে মনুকে ট্রেনিং করে অলিম্পিক্সে পদক জয়ের বিষয়ে সহায়তা করেছেন। এজন্য অবশ্য কেন্দ্র সরকারও মনুকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে।