শেষ আপডেট: 26th July 2024 20:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২২ সাল থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি-সিবিআই। যত দিন গড়িয়েছে ততই তদন্তকারীদের হাতে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই স্ক্যানারে রাজ্যের ১৯টি পুরসভার নিয়োগ। এই সমস্ত পুরসভায় অর্ধেকের বেশি চাকরি বেআইনিভাবে হয়েছে, সম্প্রতি পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে সিবিআই।
প্রোমোটার অয়ন শীলের সূত্র ধরে পুর নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসে। এর আগে এই মামলায় একাধিক হেভিওয়েটের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি-সিবিআই। ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ একাধিক পুরসভার তালিকাও সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। সেই মামলাতেই এবার বিস্ফোরক দাবি করেছে সিবিআই।
সংশ্লিষ্ট চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের পর ১৯টি পুরসভায় যা নিয়োগ হয়েছে তার অর্ধেকেরই বেশি চাকরি বেআইনি। সেক্ষেত্রে কোন পুরসভায় কত বেআইনি নিয়োগ হয়েছে তার তালিকা আদালতে পেশ করে সিবিআই। যেখানে বেআইনিভাবে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় সবচেয়ে বেশি চাকরি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের ১৯টি পুরসভায় ৩,৬৫০টি নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে ১,৮১৮টি নিয়োগই ভুয়ো। আর এই বেআইনি নিয়োগই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের পেশ করা তালিকায় দেখা গিয়েছে, দমদম পুরসভায় ৬১টি, দক্ষিণ দমদমে ৩২৯টি, কামারহাটি ৩০৩টি, নিউ বারাকপুর ৭৪টি, টিটাগড় ২২১টি, রানাঘাট ১০১টি, কৃষ্ণনগর ২০০টি, উত্তর দমদম ৬৪টি, বরানগর ২৭৬টি সu আরও অন্যান্য পুরসভায় যথেষ্ট বেআইনি নিয়োগের তথ্য উঠে আসেছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, এই সমস্ত বেআইনি নিয়োগই হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে।
সম্প্রতি পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া চার্জশিটে তদন্তকারীদের দাবি ছিল, কোভিডকালে অতিমারির সময় এক নোটিসেই রাতারাতি ২৯ জনের নিয়োগ হয় দক্ষিণ দমদম পুরসভায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা চার্জশিটে নাম ছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু গোপাল রায়ের। পাশাপাশি পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত ‘মিডলম্যান’ অয়ন শীলের নামও ছিল চার্জশিটে।